ময়মনসিংহ: পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ‘লালু মাস্তান’। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টির বয়স চার বছর তিন মাস, ওজন ৩৬ মণ।
জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ৫ নম্বর গাজীভিটা ইউনিয়নের পূবসমনিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক মো. আলম মিয়া এই গরুর মালিক। গায়ের রং লাল এবং ছোটবেলা থেকেই চলাফেরায় বেশ ভাবসাব থাকার কারণে কৃষক আলম তার ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন লালু মাস্তান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই লালু মাস্তান গত ঈদুল আজহায় ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী হাটে উঠেছিল। তখন পৌনে ৭ লাখ টাকা দাম উঠলেও পছন্দসই ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি। তবে এবার দশ লাখ টাকা দাম হলেই বিক্রি করে দিতে চান আলম মিয়া।
তিনি জানান, শখের বসে এই লালু মাস্তানকে লালন পালন করা হয়েছে। এখন তার ওজন ৩৬ মণ। ভূট্টা, কুড়া, ভুসি, খড় ও ঘাস লালু মাস্তানের পছন্দের খাবার। তবে মাঝে মাঝে তাকে খাওয়ানো হয় দুই থেকে তিন হালি করে কলা। গরমে দিতে হয় নিয়মিত স্যালাইন। সেই সঙ্গে বেশি গরমে ফ্যান ছাড়া ঘুমাতে পারে না এই গরুটি।
তিনি আরও জানান, লালু মাস্তান ছাড়াও কালা মানিক নামে আমার আরও একটি গরু আছে। সেটার ওজন ৩২ মণ। ভালো দাম পেলে ওই গরুটিও এবার বিক্রি করে দিতে চাই। স্থানীয় সূর্য্যপুর বাজারের পাশেই আমার বাড়ি। কেউ কিনতে চাইলে আসতে পারেন বাড়িতেও।
প্রতিবেশীরা জানায়, বিশাল দেহী এই ষাঁড় দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসছে। কেউ দেখতে আসছেন আবারও কেউ আসছেন দর-দাম করতে। ফলে এই ষাঁড়কে ঘিরে এলাকাবাসীর মাঝে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক আলমের ছোট বোন লাবণী আক্তার জানান, সন্তানের মতো স্নেহ করে ষাঁড়টিকে লালনপালন করেছি আমরা। ওর জন্য আমাদের অনেক মায়া। কিন্তু এবার লালু মাস্তানকে বিক্রি না করে উপায় নেই। দিনে দিনে এর খাবার বাড়ছে। এতে খরচও বেশি।
ষাঁড়টি দেখতে আসা পরিবহন ব্যবসায়ী মুকুল শাহরিয়ার বলেন, লালু মাস্তান ফ্রিজিয়ান জাতের হলেও দেখতে দেশি জাতের গরুর মতো। আমার মতো অনেক মানুষ প্রতিদিন বিশালদেহী এই গরুটি দেখতে আসে।
লালু মাস্তান ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মারুফ হাসান।
তিনি বলেন, আকর্ষণীয় রঙের এই ষাঁড় আমার দেখা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। এবারের কোরবানির হাটে এই লালু মাস্তান ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
এসএএইচ