নীলফামারী: গ্রীষ্মের রসালো ফলে ভরে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাজার। ফলে আড়ত, খুচরা বাজার ও ফেরি করে বেচাকেনা জমে উঠেছে।
মৌসুমের ফল বেচাকেনায় নামছেন অনেকেই, আয়ও করছেন ভালোই।
সৈয়দপুরের বাজারে দেখা মিলছে আম, কাঁঠাল, বিভিন্ন রঙের জামরুল, জাম, লিচু, গাব ও তালের শাঁসের মতো নানা ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফলের সমারোহ।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ আমই অপরিপক্ব। অথচ দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশছোঁয়া। ১০০ টাকার নিচে কোনো আম নেই।
তবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে এসব নতুন ফলের দাম বেশ চড়া থাকে। সময় গড়িয়ে কিছুদিন পর ফলের মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে দাম কিছুটা কমবে।
শহরের রেললাইনের ওপর জাম বিক্রি করছেন তারিকুল। তিনি বলেন, এগুলো আগাম জাতের জাম। এখনও বাজারে জাম ভালোমতো ওঠেনি। তাই দাম বেশি। প্রতি কেজি জামের দাম ৩২০ টাকা। অনেকে জিহ্বার স্বাদ মেটাতে অল্প পরিমাণে কিনছেন।
বাজারে চায়না-৩ ও বেদেনা লিচু ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোম্বে লিচু ৪০০ টাকা ও অন্যান্য লিচু ৩০০ টাকায় প্রতি ১০০টি করে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন এসব লিচু দিনাজপুরের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পাওয়া বেশিরভাগ লিচু আসছে রংপুরের দিলালপুর, রাঁধানগর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা, চিরিরবন্দর প্রভৃতি এলাকা থেকে। এগুলো সরাসরি বাগান থেকে অথবা অনেকে আগেই বাগান কিনে রেখেছেন সেখান থেকে আসছে।
লিচু কিনতে আসা শহরের কামারপুকুরের রজব আলী জানান, এক মণ ধান বিক্রি করেও ১০০ লিচু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রচণ্ড গরমের বাজারে তাল শাঁসের চাহিদাও বেড়েছে। এই অঞ্চলে তালের আবাদ নেই এমনকি বিক্রির লোকও নেই। এসব মূলত বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর প্রভৃতি এলাকা থেকে লোকজন নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। প্রতি পিস তাঁল ১০ টাকা। এসব লোকজন শহরেই থেকে এ ব্যবসা করছেন।
জাতীয় ফল কাঁঠালের চাহিদাও কম হয় না এই মাসে। জাতীয় ফল বলে কথা, তাই উৎপাদনেও ঘাটতি নেই কাঁঠালের। রসালো মিষ্টি কাঁঠাল ইতোমধ্যেই বাজারে উঠেছে তবে সীমিত আকারে। আরও ১৫-২০ দিন পর ভালোভাবে কাঁঠাল পাওয়া যাবে। বেশিরভাগ গাছের কাঁঠাল এখনও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এফআর