মানিকগঞ্জ: আসন্ন ঈদুল আজহায় দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পাটুরিয়াঘাট অভিমুখে ছুটে চলেছে। সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন নেই তবে বেশ কিছু বাড়তি কাটা গাড়ির (লোকাল গাড়ি) যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাটুরিয়াঘাট মুখে (কাটা গাড়ি) কিঞ্চিৎ বাড়তি যানবাহনের চাপের দৃশ্যের চিত্র দেখা গেছে। ভোর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষ পদ্মা ও যমুনা নদী পাড়ি দিতে ছুটে চলেছে পাটুরিয়া এবং আরিচা বন্দরের অভিমুখে।
জানা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এবং বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৫টি ফেরি পদ্ম ও যমুনা নদীতে চলাচল করছে।
একইভাবে পাটুরিয়ায় ২০টি এবং আরিচা বন্দরে ১৩টি লঞ্চে (কাটা গাড়ি) লোকাল যাত্রী পারাপারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় মাদারীপুরগামী যাত্রী আব্দুল মমিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রাইভেট একটি কোম্পানিতে জব করি, এই ঈদে পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করব বলে রওনা হয়েছি গ্রামের বাড়ির দিকে। গত রোজার ঈদেও মহাসড়কে কিছুটা যানবাহনের বাড়তি চাপ ছিল, তবে এবার তা নেই। খুব সহজেই গাড়ি টিকিট কেটেছি এবং স্মুথলি মহাসড়ক হয়ে মানিকগঞ্জে এসে পৌঁছালাম। আশা করছি বাকি পথও একইভাবে জার্নি করে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে পারব।
ঈদে ঘরমুখো ফরিদপুরগামী আরিফা নামে এক যাত্রী বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আর আগের মতো যানবাহন নেই, সেজন্য ঈদ যাত্রাটা আসলে স্বাচ্ছন্দ্যেই করতে পারলাম। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই আমরা এখন এই রোড দিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে পারি। তবে একটি কষ্টের জায়গা রয়েছে, এই রুটটিতে এখন তেমন কোনো দূরপাল্লার পরিবহন না থাকায়, ভেঙে ভেঙে যেতে হয়। তবুও শান্তি।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিঞ্চিৎ যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে। ঈদযাত্রায় যেমন যানবাহনের চাপ থাকার কথা সে তুলনায় তেমনটা নেই। তবে দুপুরের পর হয়ত কাটা গাড়ি আর লোকাল যাত্রী পরিবহনের চাপ পড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এসআরএস