কুমিল্লা: চারিদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা। গেটে আনসার সদস্যদের পাহারা।
কুমিল্লা শহরতলীর চাঁপাপুর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৫ জুন) বিষয়টি জানাজানি হয়।
গরু হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কোয়ার্টারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানের বাসিন্দারা।
গরুর মালিক বলছেন, আবার গরু কেনার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে কর্মচারীদের একটি অংশ বাড়িতে যান না। কর্মস্থলে কোরবানি করেন তারা। গরু কিনে আবাসিক এলাকার মাঠে রাখেন। শুক্রবার বিজিডিসিএল টেকনিশিয়ান জাহেদ আলী, রিপন, মান্নান দেড় লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনেন। গরুটি রাতে মাঠ থেকে উধাও হয়ে যায়। বিজিডিসিএলের অফিস ও আবাসিক এলাকার ৫টি গেট। প্রত্যেক গেটেই আনসার ও নিরাপত্তা প্রহরীরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করেন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। কিন্তু সিসি ক্যামেরায় দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কোনো ফুটেজ নেই। এই সময়ে গরুটি চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। চুরি না হলে এখন থেকে গরু ছুটে যাওয়ার কোনো পথ নেই। ৪ ও ৫নং গেট খোলা থাকলেও আনসার মোতায়েন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গরুটি বাইরে নিতে ৪নং অথবা ৫ নং গেট ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে টেকনিশিয়ান জাহেদ আলীর মেয়ে উম্মে কুলসুম জাকিয়া লিখেন, গতকাল রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে বাখরাবাদ কোয়ার্টার থেকে আমাদের গরু চুরি হয়। যা অবিশ্বাস্য কথা। এত বছর যা হয়নি তা হয়েছে। তাও আবার আনসার সিকিউরিটি আর সিসি ক্যামেরা থাকার পর। তাদের কথা মতে তিন আনসারকে অজ্ঞান করে সিসি ক্যামেরা লাইন কেটে এ কাজ করে। যা সত্যি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এত এত সিকিউরিটি থাকার পর কীভাবে এটা হলো বুঝে আসে না।
টেকনিশিয়ান জাহেদ আলী জানান, তিনি আরেকটি গরু কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গরু চুরির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বলেন, হয়তো হারিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিজিডিসিএল উপমহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) নিলুফার বেগম। ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরুটি দড়ি ছিঁড়ে হয়ত ছুটে গেছে।
সিসিটিভির ফুটেজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসএএইচ