ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ জুন ২০২৪, ১২ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জমে উঠেছে তেজগাঁওয়ের পশুর হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
জমে উঠেছে তেজগাঁওয়ের পশুর হাট

ঢাকা: ক্রেতা ও ব্যাপারীদের পদচারণায় জমে উঠেছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কোরবানির পশুর হাট। ঈদের এখনও দুদিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে এ হাটের অধিকাংশ গরু।

ক্রেতার চাহিদা থাকায় অনেক ব্যাপারী অন্য হাট থেকে এ হাটে গরু নিয়ে আসছেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠ ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এবার আফতাব নগরে পশুর হাট না বসায় তেজগাঁওয়ের এ হাটে বেড়েছে ক্রেতার চাপ। অনেক ব্যাপারীও এবার এ হাটে নিজেদের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন।

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের এ হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের পদচারণায় হাটে হাঁটার মতো জায়গা নেই। ব্যাপারীরা খেলার মাঠের পাশাপাশি রাস্তায় বাঁশের সঙ্গে নিজেদের গরু বিক্রির জন্য বেঁধে রেখেছেন। ক্রেতারা গরু দেখছেন, দরদাম করছেন। দামে মিললে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার ব্যাপারীরা গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, কেউ লসে, কেউবা আবার একেবারেই কম দামে গরু বিক্রি করেছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে ১৮টি গরু নিয়ে গত রোববার (৯ জুন) এ হাটে এসেছেন আব্দুল মজিদ। ইতোমধ্যে ১৭টি গরু বিক্রি করেছেন তিনি।

আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে এ হাটে গরু নিয়ে আসি। অন্যান্য হাটের তুলনায় এখানে ঝামেলা কম। তবে এবার ব্যাপারীর চাপ বেশি ছিল। শুরুতে মাঠে জায়গা পাইনি। আর একটি গরু আছে। এটা বিক্রি করতে পারলে বাড়ি চলে যাবো।

একই এলাকা থেকে ১৯টি গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আর আটটি গরু আছে। বাকিগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। শুরুতে গরুর দাম পাইনি। কিছু গরু লোকসানে বিক্রি করেছি। এখন মোটামুটি দাম পাচ্ছি। আশা করি, কালকের মধ্যে বাকি গরু বিক্রি হয়ে যাবে।

বড় গরুর তুলনায় এ হাটে ছোট গরুই বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে। দামের কারণে ক্রেতারা ছোট গরু কিনছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

টাঙ্গাইল থেকে দুটি বড় ও দুটি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে এসেছেন আল-আমিন। মাঝারি সাইজের দুটি গরু বিক্রি হয়ে গেলেও বড় দুটি এখনও রয়ে গেছে। যার একটির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে চার লাখ ও অন্যটি আড়াই লাখ টাকা।

তিনি বলেন, দুটি গরু লসে বিক্রি করেছি। তিন লাখের একটি গরু দুই লাখ ১৮ হাজার ও আড়াই লাখের একটি গরু দুই লাখ দুই হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বড় দুটি এখনও রয়ে গেছে। চেষ্টা করছি বিক্রি করার। কিছু টাকা লসে হলেও বিক্রি করে দেবো। কারণ বাড়ি নিয়ে গেলে তো কোনো লাভ হবে না। উল্টো নিয়ে যাওয়ার বাড়তি খরচ হবে।

তবে ক্রেতারা বলছেন, ক্রেতা থাকায় ব্যাপারীরা বেশি দাম চাচ্ছেন।

নাখালপাড়া থেকে গরু কিনতে এ হাটে এসেছেন মহসিন। তিনি বলেন, গত বছর যে গরু ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই গরু এবার এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা চাচ্ছে। বড় গরু বিক্রি কম হওয়ায় ছোট গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন ব্যাপারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।