ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ল ৪৮ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ল ৪৮ কোটি টাকা

ঢাকা: গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত চারটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। চার প্যাকেজে মোট ব্যয় বেড়েছে ৪৭ কোটি ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩০ টাকা।

 
 
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ সংক্রান্ত পৃথক চারটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ২ নম্বর প্যাকেজের ১৬ নম্বর ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  

ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১৩ কোটি ০৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৫১ টাকা, যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৬ দশমিক ৩৫১ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিলো ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬১ টাকা। ব্যয় বেড়ে চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৩১৩ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড।  

একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ৩ নম্বর প্যাকেজের ১৬  নম্বর ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৫ টাকা, যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৩ দশমিক ৪৭৩ শতাংশ বেশি।  

মূল চুক্তিমূল্য ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৬১ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৭ টাকায়। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড।  

আরেক প্রস্তাবে একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ৪ নম্বর প্যাকেজের ১৬ নম্বর ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ০৫ হাজার ৬৫৮ টাকা, যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৬ দশমিক  ৮৫৯ শতাংশ বেশি।  

মূল চুক্তিমূল্য ৫১ কোটি ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৫ টাকায়। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো এফআই-এমববএল।  

এ ছাড়া একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত পাঁচ নম্বর প্যাকেজের ৪ নম্বর ইউনিটে ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ৪-তলা স্কুল ভবন নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বহিরাগত জল সরবরাহ এবং আরবোরিকালচার কাজ শীর্ষক নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  

ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ২৬ টাকা, যা মূল চুক্তিমূল্য অপেক্ষা ২৮ দশমিক ৯৯১ শতাংশ বেশি। মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৩২ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ টাকা। আর সংশোধিত চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৩০৭ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো এমএসসিএল -এমসিপিএল।  


বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।