ঢাকা: মিরপুরের সড়কগুলোতে মিলছে না তেমন কোনো গণপরিবহন। পরিবহন নেতাদের নির্দেশ দিয়েও বের করা যাচ্ছে না বাস।
সড়কে গাড়ি কম দেখে শ্রমিক ইউনিয়ন ও পরিবহন দলীয় নেতাকে ধমক দেন যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল। পরে সড়কে গাড়ি বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়। ফোনে ডাকাডাকি শুরু হয় ড্রাইভারদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মিরপুর ১ গোল চত্বরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
মিরপুর-১ নম্বরে সকাল থেকে কম গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতিও কম ছিল। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে দেখা গেছে যাত্রীর সংখ্যা। তবে যাত্রী তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়নি।
এদিকে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরের খলিল ভবন মার্কেটের সামনে অবস্থান নিতে দেখা গেছে আওয়ামী-যুবলীগের নেতাকর্মীদের। মার্কেটের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো ব্যবস্থা থাকলেও তা বাজানো হচ্ছিল না।
এ সময় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল সড়কে গাড়ি চলাচল কম দেখে ক্ষুব্ধ হন। নেতাকর্মীদের কাছে তিনি সড়কে গাড়ি কম থাকার কারণ জানতে চান। তখন সেখানে উপস্থিত থাকা মিরপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোরে ড্রাইভাররা এসে গাড়ি নিয়ে চলে গেছে। এ জন্য এখন গাড়ি কম মনে হচ্ছে। কেউ কেউ ফিরে গেছে। এখনই গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
পরে যুবলীগ সভাপতি ও মিরপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটুর প্রতিও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান এ সংসদ সদস্য।
যুবলীগের সভাপতি মিরপুর-১ থেকে চলে যাওয়ার পর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা অন্যান্যদের বলেন, ‘যে যাই বলে বলুক, চুপ করে থাক। ’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের শাস্তি, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এ কর্মসূচির কারণে মিরপুরের সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতিও কম ছিল। এ এলাকায় কিছু কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।
মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্তর এলাকায় মার্কেটের কিছু দোকান খুললেও অধিকাংশ দোকান বন্ধ। ফুটপাতের হকাররা কোনো দোকান খোলেননি। কিছু দোকানের মালিক-কর্মচারী দোকানে এলেও দোকান না খুলে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে কিছু দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে।
মিরপুর এলাকা থেকে গুলিস্থান, মতিঝিল, নিউমার্কেট, সায়েদাবাদে যাতায়াত করা অধিকাংশ গাড়ি ছাড়তে দেখা যায়নি। মিরপুর-১০ এর গোল চত্বর থেকে ২ নম্বর মোড় পর্যন্ত পার্ক করে রাখা হয়েছে অনেক বাস।
এদিকে মিরপুরের সব গার্মেন্টস-কারখানা যথারীতি সকাল ৮টায় খুলেছে।
মিরপুর এলাকায় কোথাও কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি।
মিরপুরে-১ এ অবস্থান নেওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, স্কুলকলেজ বন্ধ আছে। ছাত্ররা পরে বের হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান নেওয়ার কথা বললেও মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তেমন দেখা যায়নি। তবে কোথাও কোথাও মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
জেডএ/এফআর