ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে বের হতে শুরু করেছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে সড়কে যাত্রী তুলনায় গণপরিবহন অনেকটাই কম দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে মিরপুরের সড়কে কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। বিআরটিএ এর বাস, প্রাইভেটকার, রিকশা ও অটোরিকশা নিয়মিতভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে মিরপুর ১০ নম্বর, ১৩ নম্বর ও ১৪ নম্বরে কোথাও ট্র্যাফিক পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
সরেজমিনে মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল বিকেলে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পরে জনতার আনন্দ মিছিলের পর নোংরা হয়ে যাওয়া সড়ক পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছিল। চলাচল করতে দেখা গেছে বেশ কিছু বিআরটিসি বাস ও গণপরিবহণ, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা এবং রিকশা।
মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন ছোট ছোট দকোনপাট খুলতে শুরু করেছে। অনেককে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে মানুষের আনাগোনা। সড়কে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেক শ্রমজীবী ও অফিসগামীদের।
দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও বন্ধ আছে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। কিন্তু শ্রমিকদের কাছে সেই খবর তেমন না পৌঁছানোর কারণে অনেকেই কারখানায় এসে আবার ফিরে যাচ্ছেন। অনেককে কারখানা গেটে বা ফুটপাতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন গলির মোড়ে, চায়ের দোকানে, ফুটপাতে মানুষের মুখে মুখে ছাত্রদের বিজয়গাঁথা, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ, ভারতেও শেখ হাসিনার ঠায় না হওয়ার মতো আলোচনা শোনা গেছে।
বিআরটিসি গাড়ির সহাকারী আব্দুল আলী জানান, সকাল ৭টায় বের হওয়ার জন্য রাতেই তাদের বলা হয়েছিল। এ জন্য তারা সকালেই বাস নিয়ে বের হয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নামলে তাদের নিয়ে অফিসে যাওয়া হবে।
সবজি ব্যবসায়ী কবির বলেন, সকালে সড়ক খোলা থাকে। তাছাড়া সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো সমস্যা হয়নি। এছাড়া একদিন বসে থাকলে আমাদের পেট চলবে না। তাই কাজে বের হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
জেডএ/এফআর