ময়মনসিংহ: কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন আমিরুল ইসলাম (৪৫)। গত ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরা আজিমপুর রেল লাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ফুটপাতে ফল বিক্রি করতেন তিন সন্তানের জনক আমিরুল ইসলাম। ১৮ জুলাই তার চোখে গুলি লেগে ঘাড় দিয়ে বের হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মুয়াজ্জিনের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সলিমপুর পশ্চিম পাড়ায়। তার স্ত্রী ও মেয়ে তুহা (৪), তুষা (২) ও ছেলে তুষারের জন্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন বসুন্ধরা শুভসংঘের ত্রিশাল উপজেলার বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার অর্থায়নে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও শিশুদের দুধ নিহতের স্ত্রীর হাতে তুলে দেন ত্রিশাল উপজেলা শুভ সংঘের বন্ধুরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল বার্তা পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক শামীম আজাদ আনোয়ার, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জোবায়ের হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, দৈনিক ঈশিকা প্রতিনিধি নুরুল আমীন, দৈনিক গণমুক্তির প্রতিনিধি কবি মাসুদ রানা, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফাহাদসহ অনেকে।
নিহত আমিরুল ইসলাম স্ত্রী তানজিন আক্তার বলেন, নিজের বাড়িভিটা ছেড়ে পাঁচ বছর আগে উত্তরার আজমপুরে চলে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে আমার স্বামী একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। সংসারে অভাব থাকায় দেড় বছর আগে আমার স্বামী ফলের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের জন্য ফল কিনতে উত্তরখান যান। ফল কিনে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এখন পর্যন্ত আমার পরিবারের কেউ খোঁজ নেয়নি। আপনারা যারা আমার এতিম অবুঝ শিশুদের খোঁজ নিতে এসেছেন, তাদের ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, বলেন তানজিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
এসআই