ঢাকা, রবিবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩১, ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৫ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

‘সরকার পতনে খুশি হয়েছি, এখন স্বামী হত্যার বিচার চাই’

কাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
‘সরকার পতনে খুশি হয়েছি, এখন স্বামী হত্যার বিচার চাই’

রাজবাড়ী: ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনে আমি খুশি হয়েছি। ভয়ে আগে স্বামী হত্যার বিচার চাইতে পারিনি।

এখন আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই’।

কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার শাহজাদপুরে কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষে নিহত আবদুল গণির (৪৫) স্ত্রী লাকি আক্তার।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লাকি আক্তার বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আমি দুটি সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছি। আমি আর্থিক সহযোগিতা চাই। আর সরকারের কাছে দাবি, আমার ছেলেকে যেন একটি চাকরি দেওয়া হয়’।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আবদুল গণি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আবদুল গণি। স্বামীকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী লাকি আক্তার। ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আলামিন শেখ ও জান্নাত নামে এক ছয় বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে তাদের। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে সহযোগিতার করার আহ্বান জানায় এলাকাবাসী।

স্বজনরা জানায়, রাজধানীর গুলশানে-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। এসময় হঠাৎ তার মাথার ডান পাশে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।