পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামানসহ ৬ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি মো. মিরাজ সিকদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ততকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিরন, ভান্ডারিয়া জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ লীগের সভাপতি নাদিম সিকদার, উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবুল সিকদার, ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক মামুন সিকদার, উপজেলার ইকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু তালুকদার।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী আ্যাডভোকেট মো. একরাম আলী মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় ওই থানার ওসিসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভান্ডারিয়া থানা থেকে ২ জন পুলিশ সদস্য মামলার বাদী ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি মো. মিরাজ সিকদারকে থানার ওসির কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। ওই দুইজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বাদী মিরাজ সিকদার সাড়ে ১১টার দিকে থানায় পৌঁছায়। তখন ওসি আসিকুজ্জামান তার থানার পাশে বাসভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় এবং মিরাজ সিকদারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় তাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করে দেওয়ার হুমকি দেন। বাদী মিরাজ সিকদার ওসি আসিকুজ্জামানকে অনুরোধ করে পরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে আর মামলা দেবে না মর্মে আশ্বস্ত করে। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত বাদীকে থানা হাজতে আটকে রাখেন। পরে বাদী মিরাজ সিকদার থানা থেকে বের হতে গেলে বাইরে থাকা অন্যান্য আসামিরা আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাদী প্রাণের ভয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে যান।
এ বিষয়ে বাদী জানান, বুধবার (২১ আগস্ট) তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, তাকে হয়রানি করতে তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওসি আশিকুজ্জামান বর্তমানে ঢাকার আর্মড পুলিশে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
জেএইচ