ঢাকা, শনিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩১, ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

রিমান্ডে ভিআইপিদের যেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানালেন ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
রিমান্ডে ভিআইপিদের যেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানালেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, কয়েক জন ভিআইপিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কারা অর্থ, পরামর্শ ও বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন এসব বিষয় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

শনিবার (২৪ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রিমান্ডে ভিআইপিদের জিজ্ঞাসাবাদে আপনারা কী জানতে পেরেছেন জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইস্যুতে রুজু হওয়া মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের কেউ অর্থ, পরামর্শ ও বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন এসব বিষয় এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।  

অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কিছু পুলিশের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টি চলমান রয়েছে।  

যেসব অপেশাদার পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়নি তারা এখন পলাতক কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, তাদের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত নেই।  

বিশেষ কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্যরা ডিএমপিতে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে ছিলেন। আপনার দায়িত্ব পালনকালীন এসব বিশেষ জেলার কর্মকর্তাদের পদায়ন হবে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি এ বিষয়ে একমত নই। পুলিশ বাহিনীর সবাই পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করবে। কে কোন জেলা থেকে এলো সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। আমরা চাই একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে। যেখানে সকল পুলিশ সদস্যের কাজ হবে পেশাদার।  

পুলিশে আস্থার সংকট ফিরিয়ে আনার জন্য আপনারা কাজ করছেন। কিন্তু অপেশাদার পুলিশ সদস্যরা কীভাবে আস্থার সংকট ফিরিয়ে আনবেন। জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিছুটা সময় লাগবে। তবে আপনারা পরিচ্ছন্ন পুলিশিং দেখতে পাবেন। যাদের আস্থার সংকট বলছেন তারা থাকবে না।  

তিনি বলেন, আমরা চাই পেশাদার পুলিশ বাহিনী তৈরি হোক। যেখানে কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যায়ের স্থান থাকবে না।  

আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন। সেসব অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র যেমন ব্যবহার হয়েছিল আবার অবৈধ অস্ত্রও ব্যবহার হয়েছিল।  

আস্থা ও সংকট কাটিয়ে উঠতে কতদিন সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। আমরা চেষ্টা করছি৷ এক্ষেত্রে সবার সাপোর্ট চাই আমরা।  

সবার সহযোগিতা ছাড়া ট্রমা থেকে পুলিশ উঠে আসতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ