ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২১ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী এক মাস নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না: নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
আগামী এক মাস নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না: নুর

ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ড. ইউনূসের মত এরকম এক গ্রহণযোগ্য লোক বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। কাজেই তাকে আমরা সজ্ঞানে সহযোগিতা করব।

তাই কোনো নির্বাচনের দাবি দাওয়া নিয়ে আগামী এক মাস অন্তত কোনো আলোচনা হবে না। নির্বাচন যথা সময় হবে।  

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে 'সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধ করণীয়' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

নুরুল হক নুর বলেন, ড. ইউনুস সমস্থ পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ইউরোপ আমেরিকা কে বলেছে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে বেশি বেশি অর্ডার দিতে। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক দক্ষ কারিগর আছে। আপনারা অর্ডার দিন, এতে আপনারাও উপকৃত হবেন এবং আমরাও উপকৃত হব। পাশাপাশি আমাদের অনেক বৈদেশিক কর্মসংস্থানও তৈরি হবে, অনেক দেশ শ্রমিক নিবে।  

ঢালাও ভাবে কাউকে বিতর্কিত করা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, অনেকেই বলছে প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে। তবে এটা কতটা যৌক্তিক হবে তার সকল রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও প্রেসিডেন্ট আমাদের কে আশ্বস্ত করেছেন যে, শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে তার কুকর্মের ফল তিনি ভোগ করছেন। এ বয়সে এসে তিনি শেখ হাসিনার মতন অপরাধ করবেন না তিনি জনগণের পাশে থাকবেন। আবার অনেকে বলছেন সেনাপ্রধান নাকি স্বৈরাচারের আত্নীয়। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কিন্তু আমি বলব, তিনি তো স্বৈরাচার পতনের সময় ছাত্র-জনতার পাশে ছিলেন। কাজেই কাউকে ঢালাও ভাবে বিতর্কিত করা থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

নুরুল হক নুর বলেন, পরিবহনের সকল অফিসগুলো দখলদাররা দখলে নিয়ে নিছে। রাতারাতি সব জায়গায় কমিটি হয়ে গেছে, কিভাবে কমিটি হলো? কে করেছে? এ সমস্ত দখলদারদের বিরুদ্ধে মালিক শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। একটা পয়সা চাঁদাও আপনার আজকে থেকে কাউকে দিবেন না।  

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, টিআইবির মতন একটা সংস্থান বলছে, ১৮৫৫ কোটি টাকা প্রতিবছর এই পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদা উঠে। এই চাঁদার ভাগ পায় ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। তবে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের কারণে, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বদলি এবং অনেকে চাকরিচ্যুত হচ্ছে। কাজেই পুলিশ একটি পেশাদার এবং জনবদ্ধ বাহিনীতে পরিণত হবে। ট্রাফিক বা থানা পুলিশ এখন থেকে এক পয়সার ঘুষ নেয়ারও সাহস দেখাবে না। যদি ঘুষ চায় তাহলে আপনারা আমাদেরকে বলবেন। সবাই মিলে ঐ ঘুষখোরের বারোটা বাজিয়ে দেবো।  

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের এক কথা, স্থানীয় সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের কে যেভাবে ক্ষমতা থেকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই একই ভাবে চাঁদাবাজের যে দোকানগুলো ছিল যাত্রাবাড়ী, মহাখালী গাবতলীসহ সমস্ত বাসস্ট্যান্ডের সমস্ত চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করতে হবে। এই দোকানে যারা বসবে আপনারা সবাই মিলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে দিবেন। এই যে পরিবহনের মাফিয়া গোষ্ঠী এদের কুতুকুতু করে কথা বললে শুনবে না। তাদের যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা,আগস্ট ২৭, ২০২৪
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।