ঢাকা, বুধবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ আগস্ট ২০২৪, ২২ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

মির্জা ফখরুলের একান্ত সচিব পরিচয়ে চাঁদা চেয়ে গ্রেপ্তার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
মির্জা ফখরুলের একান্ত সচিব পরিচয়ে চাঁদা চেয়ে গ্রেপ্তার ২

বরিশাল: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার হারুন হাওলাদারের ছেলে মো. শাহীন (৪০), বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার আব্দুল সালামের পুত্র সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম ওরফে (৩৫)।

তারা দুজনই বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর বস্তির ৮ নম্বর সড়কে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহেল মোল্লা।

তিনি জানান, রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে বাবুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রিমান্ড শুনানি পরে হবে।

জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সচিব পরিচয়ে বরিশাল-৩ আসনের সাবেক  সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং বরিশাল-৬ আসনের (বাকেরগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য রত্না আমিনের মুঠোফোনে একটি নাম্বার থেকে কয়েকদিন ধরেই বিশাল অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল।  

এ ঘটনা জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, চাঁদা দাবি করা মোবাইল নম্বরের অবস্থান বাবুগঞ্জের পাইলট বালিকা বিদ্যালয় এলাকায়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কাজী ওবায়দুল কবীরের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে চাঁদা দাবি করা দুজনকে আটক করে। যে সিমকার্ড ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল, তা আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন কাজী ওবায়দুল কবীর।

জানা গেছে, গ্রেপ্তাররা পলাশপুরে থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা চালাতেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
এমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।