ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ইয়ার আলী (৫২) নামে এক মুদি দোকানি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত ইয়ার আলী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি গোপালিয়া গ্রামে একটি মুদি দোকান চালাতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আনুমানিক ১০ মাস আগে গোপালিয়া গ্রামের মফিজুরকে মারধর করেন ইয়ার আলী ও তার ছেলেরা। ইয়ার আলী স্থানীয়ভাবে আয়ুব আলী মাস্টারের দলের সমর্থক এবং মফিজুর প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান মাস্টারের আপন ভাই। ঘটনার পর থেকে উভয় দলের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ার আলীর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইয়ার আলী।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইয়ার আলীর ভাজিতা কামাল হুসাইন। তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ার আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান মাস্টার ও তার ভাই মফিজুর এবং সাকেন শেখসহ কয়েকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইয়ার আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৪ আহত একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
এসএম