ঢাকা, শনিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্ধারিত সময় পেরোলেও অস্ত্র জমা দেননি সাবেক রেলমন্ত্রীর ছেলে মিতুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪
নির্ধারিত সময় পেরোলেও অস্ত্র জমা দেননি সাবেক রেলমন্ত্রীর ছেলে মিতুল

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনও থানায় জমা হয়নি।  

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ১০৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ওই ক্যাটাগরিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল ও রাইফেল রয়েছে ৪৬টি। এই ৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ২০০৯-২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার কথা ছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। তবে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। ওই দুই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে।

এদিকে, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডলসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৪ জন আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের চাওয়া বৈধ ৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১৮টি পিস্তল, ২৪টি বন্দুক বা শর্টগান ও দুটি রাইফেল জমা হয়েছে। বাকি দুটি অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হলেও তা এখনও জমা পড়েনি।

রাজবাড়ী পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, পাংশায় ১১টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে নয়টি জমা পড়েছে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। ওই দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুর হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের নামে রয়েছে। অস্ত্র জমা দেওয়ার তারিখ পার হলে তিনি তা জমা দেননি। আমরা তার বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।