ঢাকা, রবিবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে: ইফতেখারুজ্জামান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে: ইফতেখারুজ্জামান ‘নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন: তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. ইফতেখারুজ্জামান | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে নতুন রাজনৈতিক শক্তির বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। গতানুগতিক রাজনৈতিক দল দিয়ে এই চেতনার বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করেন না তিনি।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) টিআইবি আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন: তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। তবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নয়, ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে তিনি এ মতামত জানান।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারের টিআইবি কার্যালয়ের মেঘমালা হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তি হিসেবে আমি মনে করি, যে চেতনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, সেই চেতনার ধারক হিসেবে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে। এখন এটি কখন হবে, কীভাবে হবে, কারা নেতৃত্ব দেবে সেটি আমাদের দেখার বিষয়। এটি আমাদের সবাইকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং আমি সকলকে চাই। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে অংশ নিতে হবে। প্রত্যেককে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের শুধু বললেই হবে না, আগের মতো হচ্ছে কেন? অন্যথায় কনভেনশনাল পলিটিক্যাল ফোর্সের দ্বারা সেটি বাংলাদেশে হবে, এটা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন।

তিনি আরও বলেন, যারা নতুন বাংলাদেশের ভিশনের বা অভিষ্টের অংশীদার, যারা এই আন্দোলনের মূলে ছিলেন, এই কর্তৃত্ববাদীর (আওয়ামী লীগ) পতনের ফলে নিজেদের লাভবান মনে করছেন রাজনৈতিকভাবে বা অন্যভাবে এবং যারা লাভবান হবেন তাদের প্রত্যেকে যদি এই চেতনা থেকে শিক্ষা লাভ না করে, তাহলে সত্যিকার অর্থে আমাদের সামনে ঝুঁকি আছে। সেই ঝুঁকিকে নিরসনের জন্য ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, জাতি তাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এজন্য সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

এই শিক্ষা শুধু ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদেরই নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিতে হবে বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, যারা সামনে নির্বাচনে অংশ নেবেন, ক্ষমতায় যাবেন, তারা যদি দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি করেন, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, তাহলে আমাদের অনেক শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিষয়টি তাদের মনে রাখতে হবে। তা না হলে আপনারা নিজেদের ওই ফ্যাসিবাদের জায়গায় উপস্থাপন করবেন এবং একইভাবে আপনাদের পতন হতে হবে। পাশাপাশি আমরা সিভিল ও মিলিটারি আমলাতন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বলব, শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী ও উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ, কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন, রম্যলেখক ও গণমাধ্যমকর্মী শিমু নাসেরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।