ঢাকা, বুধবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎপ্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎপ্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং শুরু

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই কার্যক্রম প্রায় দুই সপ্তাহ চলবে।

এ সময়, ১৬৩টি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি এবং ১১৫টি কনট্রোল এন্ড প্রোটেকশন সিস্টেম অ্যাবসর্বার রড লোড করা হবে। ডামি ফুয়েলের সাহায্যে রিয়্যাক্টরের সকল প্যারামিটার যাচাই নিশ্চিত হবার পর প্রকৃত ফুয়েল লোড করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে রাশিয়ার রসাটমের এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট, এটমটেকএনার্গো এবং রসএনার্গোএটমের বিশেষজ্ঞরা।

আকার, আকৃতি, ওজন, ম্যাটেরিয়াল বিবেচনায় ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি আসল ফুয়েল অ্যাসেম্বলির সম্পূর্ণ কপি কিন্তু এতে কোনও পারমাণবিক জ্বালানি থাকে না। এই ফুয়েল লোডিংয়ের পর রিয়্যাক্টরের সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্ট সম্পাদন করা হবে। এই টেস্টগুলোর সফলতার ওপর নির্ভর করে রিয়্যাক্টরের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন।
বাংলাদেশ প্রকল্পের দায়িত্বে এএসইর ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, রসাটম রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি কর্পোরেশন। পার্টনার দেশগুলোতে নতুন শিল্পের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে তার দক্ষতা ও বিশাল অভিজ্ঞতার প্রমাণ রেখে চলেছে। রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ এবং এর স্টার্টআপ ও অন্যান্য অ্যাডজাস্টমেন্ট কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই ইউনিটটির স্টার্টআপের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ লাভ করবে।

এটমএনার্গো-বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডেনিস মাজলভ জানান, ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিং এর কার্যক্রম ২৪/৭ ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। রিফুয়েলিং মেশিনের সাহায্যে রিয়্যাক্টরে একটি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিংয়ে গড়ে ২৫ মিনিটের প্রয়োজন হয়। ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিংয়ের পর আমরা সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্টের জন্য রিয়্যাক্টরকে প্রস্তুত করবো।

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রসাটমের প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময় ১১৩০ ঘন্টা, .সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২৪
এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।