ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন চলছে। এতে বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ।

জানা গেছে, চা বাগানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে নিয়মিত বালু তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছড়ার বিভিন্ন স্থানের পাড় ও চায়ের টিলা খুঁড়েও উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এ বালু উত্তোলনের স্থান সুনছড়া চা বাগানে অবস্থিত।  

বাগান সংশ্লিষ্টরা জানান, বালু উত্তোলনকারীদের অত্যাচারের ফলে সুনছড়ার বাঁধ, কালভার্ট, চায়ের টিলা ও রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে ভয়াবহ।

বাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ডানকান ব্রাদার্স আলীনগর চা বাগানের ফাঁড়ি সুনছড়া চা বাগানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি সুনছড়া। সিলিকা বালুসমৃদ্ধ ছড়াটির বালু চকচকে ও মসৃণ হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। তবে ছড়ার বালুমহালের কোনো ইজারা না থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড়ি এ ছড়ার কালিছালি বাজারসহ চা বাগান এলাকার পুরো অংশে বালু উত্তোলনের পসরা সাজিয়েছে। ছড়ার বাঁধ কেটে ও চা বাগানের টিলা খুঁড়েও উত্তোলন করা হয় বালু। কর্তৃপক্ষের নিষেধের পরেও থামছে না বালু উত্তোলন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত ৫১টি পাহাড়ি ছড়া সিলিকা বালু সম্পৃক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ ছড়াগুলোর মধ্যে সুনছড়াও রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি ছড়াকে অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। তবে ইজারাদাররা অনিয়ন্ত্রিত ও বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন শুরু করলে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করে। পরে ২১ মার্চ হাইকোর্ট ওই ১৯টি বালুমহালের ইজারা দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেন। তবে উচ্চ আদালতের এসব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুনছড়া, কামারছড়াসহ চা বাগানের বিভিন্ন ছড়া থেকে বালু উত্তোলন চলছে।  

জানা গেছে, পাহাড়ি ছড়ার চা বাগানের ভেতর থেকে অবৈধভাবে টিলা খুঁড়ে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য আলীনগর চা বাগান কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছে। চা বাগানের ব্যবস্থাপক হাবিব আহমেদ চৌধুরী ইতোপূর্বে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও রোধ হয়নি সুনছড়ার অবৈধভাবে বালু বাণিজ্য।

কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
বিবিবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।