নরসিংদী: নরসিংদীতে দুর্বৃত্তদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ইটাখোলা হাইওয়ে থানা ও পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ি। ঘটনার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার হয়নি প্রতিষ্ঠান দুটি।
গত ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠান দুটিতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভেতরে থাকা সব জিনিসপত্র লুট করে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ভবনের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলা গোল চত্বরের পাশেই ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ থানা। চার তলা ভবনের থানাটি সীমানা প্রাচীর ঘেরা। ঘটনার পর থেকে থানার প্রধান ফটক শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করা রয়েছে। তবে সীমানা প্রাচীরের কয়েকস্থান ভাঙা। সেখান দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, থানা চত্বরে রাখা মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে পড়ে রয়েছে। ভবনের প্রবেশ মুখে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে পড়ে রয়েছে টহল কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। সামনে এখনো ভবনের জানালার কাচের টুকরো পড়ে রয়েছে। ভবনের নিচ তলায় ওসির কক্ষসহ প্রায় প্রতিটি কক্ষ ভাঙচুর করা এবং আগুনে পোড়া। ঘটনার পর থানার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী সিয়াম সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অস্থায়ী ভাবে থানার কার্যক্রম শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ।
জানতে চাইলে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, থানা ভবনটি পুরোটাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনটি সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে অস্থায়ী ভবন থেকে ২৮ জন সদস্য নিয়ে থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
একই চিত্র পাঁচদোনা পুলিশ ক্যাম্পের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা বাজারে পুলিশ ক্যাম্পটির অবস্থান। দুচালা টিনের ঘরের ক্যাম্পটির দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে সব কক্ষ। ক্যাম্পের সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
ক্যাম্পের অপর পাশেই ক্রোকারিজের ব্যবসা করেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ক্যাম্পটি পুড়ে ফেলার পর থেকেই আমরা বাজারের লোকজন চুরি-ডাকাত আতঙ্কে থাকি। যত দ্রুত সম্ভব এটা চালু করলে ভালো হবে।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তছলিম উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পটি সংস্কার করে অচিরেই চালু করা হবে। এখন থানা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
জেএইচ