ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা এম এন এইচ বুলুর বিরুদ্ধে গুলশানে এক বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন জমির মালিক নুর জাহান বেগম।
লিখিত বক্তব্য নুর জাহান বেগম বলেন, আমার স্বামী মরহুম আবু ফতেহ ভূঁইয়ার মালিকানায় সূত্রে গুলশান-১ এর ১১ নাম্বার রোডের একটি বাড়িতে ১৯৬২ সাল থেকে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করছি। কিন্তু তৎকালীন ডি.আই.টি এর চেয়ারম্যানের ছেলের কুনজর পড়ে বাড়িটিতে এবং একপর্যায়ে বাড়িটি জবর দখল করতে আসে। পরে ১৯৮০ সালে এ বাড়িটি নিয়ে আমরা একটি মামলা করি। পরে ১৯৯৯ সালে আদালত আমাদের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ (ত্রিশের) বারের অধিক আপিল করা হয়। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত এ ৩০ (ত্রিশের) অধিক রায়ের অধিকাংশই আমাদের পক্ষে আসে। মাত্র ২টি (দুই) রায় আমাদের বিপক্ষে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে নুর জাহান বেগম জানান, বিপক্ষে যাওয়া দুটো রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পিটিশন দাখিল করেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রধান বিচারপতির আদালতে নুর জাহান বেগমের পক্ষে লিভ টু আপিল গ্রহণ করে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ আসে।
নুর জাহান বেগম বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে ভূমি দস্যু নামে পরিচিত এম.এন.এইচ বুলু স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সহায়তায় নিলামের মাধ্যমে ক্রয়ের বাহানা দিয়ে বাড়িটি দখল করতে আসে এবং বাড়িটির সামনের অংশের কিছু জায়গা সে দখল করে নেয়।
নুর জাহান বেগম জানান, এম.এন.এইচ বুলু আওয়ামী লীগ পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এবং কতিপয় দুর্নীতিপরায়ন প্রশাসনের লোকজনের সহায়তায় নিকেতন, গুলশান, বনানী, নিকুঞ্জ ও উত্তরা এলাকায় অন্যায়ভাবে বহু প্লট এবং জমি দখল করে রেখেছে।
জাহান বেগম বলেন, ফ্যাসীবাদী অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এম.এন.এইচ বুলু তার দল-বল নিয়ে রাতের আঁধারে দখলকৃত অংশ টুকু ছেড়ে চলে যায়। ফলে বাড়িটির সম্পূর্ণ অংশের দখল আমরা ফিরে পাই। বর্তমানে সে তার রজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পুনরায় আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে পুরো জায়গা জবর দখল করার জন্য পাঁয়তারা করছে। যা আদালত অবমাননার সামিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এম এন এইচ বুলুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার কোনো নাম্বার পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
ইএসএস/জেএইচ