ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো ফাঁসির আসামি বরিশালে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো ফাঁসির আসামি বরিশালে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহেল রানা

বরিশাল: কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন সাতমাইল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা।

গার্মেন্টসকর্মী তানিম হত্যা মামলায়  মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন আউকপাড়া এলাকার হানিফ আলীর ছেলে তিনি। গত ৬ আগস্ট হাইসিকিউরিটি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পালিয়ে যান তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ২০১৭ সালের ২২ জুলাই সকালে আশুলিয়ার গার্মেন্টস অপারেটর মো.তানিম নিখোঁজ হন। যার তিনদিন পরে আশুলিয়ার খাগান গ্রামের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বেওয়ারিস হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।

অপরদিকে, তানিমকে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী নূরুন্নাহার ১০ আগস্ট কাফরুল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা তানিমের কণ্ঠ মোবাইল ফোনে ধারণ করে তার মাকে শুনিয়ে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাসে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করেন। সেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সোহেল। তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত গার্মেন্টস কর্মী সোহেল রানাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে সোহেল রানা কারাগারে ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট দেশব্যাপী সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভূত সংকটময় পরিস্থিতিতে হাইসিকিউরিটি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে দাঙ্গা—হাঙ্গামা সৃষ্টি করে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় সোহেল রানা।

যে ঘটনার প্রেক্ষিতে কাশিমপুর কারাগারের জেলার বাদী হয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলার সূত্র ধরে পলাতক কয়েদিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তদন্তে দেখা যায় যে, পলাতক আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেছেন। পরবর্তীতে র‍্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। র‌্যাব-৮ সদর কোম্পানি এবং র‌্যাব-৪ এর সিপিসি-৩ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে জেল পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।