হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জলাশয় থেকে চার মাস বয়সী শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
ভাবি ও ননদের মধ্যে ঝগড়ার জেরে শিশুটিকে তার ফুফু ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে হত্যা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মাহমুদা আক্তার মীম নবীগঞ্জ উপজেলার চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেন ও মিনারা বেগম দম্পতির মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর ফুফু পপি বেগম ও দাদি মরিয়ম বিবিকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করলে মরিয়ম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে মিনারা আক্তার এ দুজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, মিনারা আক্তারের সঙ্গে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি ও ননদ পপি বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। দুপক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত মঙ্গলবার ভোরে ক্ষুব্ধ ননদ পপি একা ঘুমিয়ে থাকা মিনারার চার বছর বয়সী কন্যাশিশু মীমকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে জীবন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে দেন।
মিনারা তখন রান্না ঘরে। কাজ শেষে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিনারার শাশুড়ি মরিয়ম আদালতকে বলেন, “ভোরে আমার মেয়ে পপি ছাড়া আর কোনো লোক ঘরে ছিল না। শিশু মীমকে পুকুরে ফেলার সময় পানির শব্দ শুনেছি। এই কাজ আমার মেয়েই করেছে। ”
ওসি আরও জানান, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত শিশুর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৪
আরএ