ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতে পালাতে যে সীমান্ত বেছে নিচ্ছেন দুর্নীতিবাজরা

এম রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
ভারতে পালাতে যে সীমান্ত বেছে নিচ্ছেন দুর্নীতিবাজরা

ঝিনাইদহ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশ ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজরা। বৈধপথ এড়িয়ে সীমান্তের তারকাঁটা পেরিয়ে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন ভারতে।

 

এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ রুট ঝিনাইদহের জেলার মহেশপুর সীমান্ত। এ সীমান্ত দিয়ে গত দেড় মাসে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ২৫০ জন।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, মহেশপুর বিজিবির হাতে যত মানুষ আটক হয়েছেন, পার হয়ে গেছেন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে মহেশপুর সীমান্ত। ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার হাসখালী ও উত্তর চব্বিশপরগার বাগদা থানা। আর বাংলাদেশের অংশ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা। ৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার ৬৮ কিলোমিটার রয়েছে তারকাঁটার বেড়া। আর বাকি ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশ পুরোটাই অরক্ষিত। মাঠ-ঘাট, নদী-নালা রয়েছে বাংলাদেশের এ অংশে।

বাংলাদেশ সীমান্তের তারকাঁটাবিহীন এই এলাকাকেই নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছেন দুর্নীতিবাজরা। স্থানীয় দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে। বিজিবির হাতে মাঝেমধ্যে আটক হলেও অনেকেই যাচ্ছেন ভারতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক রাতের আঁধারে সীমান্তে আসছেন। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন ওপারে। এদিকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পাচার রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সীমান্ত ব্যবহার করে যেন দুর্নীতিবাজ ও চোরাকারবারিরা ভারতে পাড়ি জমাতে না পারে যে জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে তল্লাশি। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুর খালিশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক, লেফটেনেন্ট কর্নেল শাহ মো. আজিজুস শহীদ জানান, বাংলাদেশের সীমান্তের অংশ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা। ৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার ৬৮ কিলোমিটার রয়েছে তারকাঁটার বেড়া। আর বাকি ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশ পুরোটাই অরক্ষিত। মাঠ-ঘাট, নদী-নালা রয়েছে বাংলাদেশের এ অংশে।  

মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় আটক

পাচার শত ভাগ বন্ধ করতে না পারলেও তা প্রায় কাছাকাছি বলে দাবি বিজিবির ওই কর্মকর্তার।

সূত্র জানায়, মহেশপুরের যাদবপুর, মাটিলা, সামন্তা, পলিয়ানপুর, বাঘাডাঙ্গা, খোশালপুর, শ্যামকুড়, শ্রীনাথপুর, কুসুমপুর, লড়াইঘাট সীমান্ত এলাকায় বিজিবির মাত্র ১২টি বিওপি বা ক্যাম্প রয়েছে। গত দেড় মাসে এসব সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে ১৪ পাচারকারীসহ আড়াই’শ জন ব্যক্তিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।