ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণের দাবি

বরিশাল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশালের আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল যুব ফাউন্ডেশন।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বরিশাল যুব ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার ইমাম হোসেন সুজন জানান, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। প্রথমে স্মরণ করছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সব বীর যোদ্ধাদের। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।  

তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ যোদ্ধারা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেসব ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি প্রয়োজন। দুঃখের বিষয় ৫ আগস্ট এর পর লক্ষ্য করা গেছে যে, বিজয়ের পরে সত্যিকারের আহত ছাত্র-জনতা সব থেকে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ছাত্র-জনতাকে মৃত্যুর শিকার হতে হচ্ছে। আর্থিক কারণে অনেকে সুচিকিৎসার অভাবে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আহত ছাত্র-জনতা চিকিৎসা করাতে পরিবারের ওপর চাপ এবং আর্থিক সমস্যার দৃশ্যমান হচ্ছে।

এসব বিবেচনা করে আইডিইবি জেনিক, বরিশাল শাখা, এবি পার্টি এবং বরিশাল যুব ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ইমাম হোসেন সুজন, ইঞ্জিনিয়ার কল্লোল চৌধুরী, ডা. তানভীর, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

এদিকে ইঞ্জিনিয়ার জি এম রাব্বী নেতৃত্বে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে Save Our Real Heroes Campaign চালু করা হয়।

এ কার্যক্রমকে সুসংগঠিত ও আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি পূরণে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আহাদ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন বলে তারা দাবি করেন।  

এ সময় তারা পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেন।

দাবিগুলো হলো: আন্দোলনে আহত ও গুরুতর আহত ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহায়তা করা। সব আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা করা। গুরুতর আহতদের প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানী ভাতার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আন্দোলনের সময় সত্যিকারের কী হয়েছিল? সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আহত ও নিহতদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা করা। আহত ছাত্র-জনতার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান, এলাকা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুপ্রেরণা হিসেবে সম্মাননা দিয়ে সহায়তা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।