ফরিদপুর: সংবাদ প্রকাশের পর ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও খরচের খাতা পুরো সচল রাখা সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনকে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।
তিনি বলেন, সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে তাকে সালথা থেকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনবল ও সরঞ্জাম সংকটে এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। যে কারণে এখানে ভর্তি করা হয় না কোনো রোগী। তবে হাসপাতালটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু না হলেও খরচের খাতা পুরো সচল রাখেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিন। এরই ধারাবাহিকতায় গত অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে ৪৫ লাখ টাকা হাসপাতালের রাজস্ব খাত থেকে উত্তোলন করেন তিনি। এর মধ্যে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি ওষুধ উধাও করে দিয়ে চিকিৎসকরা কোম্পানির ওষুধ লিখে দিতেন অসহায়-গরিব রোগীদের। ডা. কাজী আব্দুল মমিন ২০২৩ সালে ৮ মে সালথায় যোগদানের পর থেকে সাধারণ রোগীদের হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা আত্মসাৎ ও আনুতোষিক ভাতা নয়/ছয় করে আসছেন তিনি। এমনকি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন, খুদে চিকিৎসক ক্যাম্পেইন ভাতা ও মাঠকর্মীদের সম্মানী ভাতা পর্যন্ত নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এসব দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে গত ২ অক্টোবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ১৫ দিনের মাথায় ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
আরএ