ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বন্ধ ঘোষণার পর দুইদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ির মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
বন্ধ ঘোষণার পর দুইদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ির মেলা

মাদারীপুর: পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণার পর অবশেষে মাত্র দুই দিনের জন্য বসছে মাদারীপুরের কালকিনির ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ির মেলা।  

আলোচনা-সমালোচনার পর দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ির মেলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

 

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মেলার বিপক্ষের লোকজনসহ ইসলামী দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

রোববার (২৭ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও মেলার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।

কালকিনি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মিটিংয়ে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুইদিনের জন্য মেলা চলার অনুমতি স্যার দেবেন। তবে পৌরসভা থেকে যাকে ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেটি বাতিলই থাকছে। যারা কালীপূজার আয়োজন করেছে, মেলাটি তারাই পরিচালনা করবে। রোববার জেলা প্রশাসন থেকে মেলাটি পরিচালনাসহ সার্বিক সব বিষয় লিখিত জানানো হবে।

উপজেলা প্রশাসন, আয়োজক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, '৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজা। এই উৎসব ঘিরে কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ির মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তি ৯টি কারণ উপস্থাপন করে মেলাটি বন্ধের দাবি জানান। পরে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সভা করে গত বৃহস্পতিবার মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আকবর হোসেন সরদার নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মেলা আয়োজনের ইজারা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতার ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানায় একটি মহল। পরে সেটি করতে ব্যর্থ হলে তারা ৯টি কারণ দেখিয়ে মেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে কালকিনি পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। পরে প্রশাসন অনেকটা চাপের মুখেই মেলাটি বন্ধের নির্দেশনা দেয়।

মেলা বন্ধের ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন। পরে মেলাটি চালুর ব্যাপারে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে অবগত করেন।

এরপর জেলা প্রশাসক নিজ কার্যালয়ে মেলার বিপক্ষের লোকজনসহ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে জরুরি সভার আয়োজন করেন। সভায় কালীপূজার পাশাপাশি মেলাটি দুইদিনের জন্য পরিচালনা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।