ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ছমির উদ্দীন মারা গেছেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ছমির উদ্দীন মারা গেছেন মেহেরপুর জামায়াতের আমির ছমির উদ্দীন

মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছমির উদ্দীন বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার সময় মারা যান তিনি।
ছমির উদ্দীনের ছেলে ডাক্তার তারিক মোহাম্মদ তাওয়াবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর তার বাবা আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন। গতকাল ২৮ অক্টোবর দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত “ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে বাড়িতে এসে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, চার মেয়ে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজন এবং রাজনৈতিক সহকর্মী বন্ধু বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ছমির উদ্দীন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন। চাকরি শেষে তিনি দীর্ঘদিন কুয়েত ছিলেন। পরে জামায়াত ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে মেহেরপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। পরে তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সূরা সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তার বড় ছেলে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারি ও জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকায় ইসলামি ব্যাংকের কাছ থেকে পুলিশ আটক করেন। ওইদিন গত রাতে বন্দর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় কথিত ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করে। তারপর পরই ছমির উদ্দীন আমেরিকা প্রবাসী মেঝো ছেলের কাছে চলে যান। তারপর তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া শহরের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ছমির উদ্দীনের মায়ের মৃত্যুর সময় দেশে এলে মায়ের জানাজা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বেশ কিছুদিন হাজত বাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও আমেরিকায় চলে যান তিনি।

ছমির উদ্দীনের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আলমগীর খান ছাতুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।