ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে মোংলা বন্দরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে মোংলা বন্দরে

খুলনা: খুলনার বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজিত কুমার চন্দের নেতৃত্বে সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুজ্জামান, বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে দীর্ঘদিন পর এ অভিযান হওয়ায় খুশি মোংলা পোর্ট পৌরবাসী।

এদিন প্রায় ১০ একর জমিতে থাকা ৭০টি আধাপাকা ও কাচা অবৈধ স্থাপনা এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  

মোংলা বন্দরের জমি উন্মুক্ত রাখতে ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওই ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি বলেন, মোংলা নদীর দুই পাড়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অনেক জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বন্দরের জমিতে আধাপাকা, কাচা-পাকাঘর নির্মাণ করে দখলে রেখেছিলেন। আমরা অবৈধ দখলকারীদের জমি খালি করতে আগে নোটিশ দিয়েছি, পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়েছে। এরপরেও দখলদাররা দখল ছাড়েনি। এর ফলে আজকের অভিযান। আজকে আমরা প্রায় ১০ একর জমিতে থাকা ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।  

ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।  

স্থানীয় রেজাউল কবির শুভ বলেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভার অভ্যন্তরে বন্দরের অনেক জমি রয়েছে। এসব জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে স্থাপনা করেছেন। কেউ ভাড়াও দিয়েছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ আজকে যে উচ্ছেদ অভিযান করছে। এখন মেরিন ড্রাইভ সড়কটির দুই পাশ পরিচ্ছন্ন হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

১৯৫০ সালে স্থাপিত মোংলা বন্দরের মোংলা নদীর দুই তীরে বন্দরের ২০২২ একর জমি রয়েছে। এসব জমির একটা বড় অংশে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে স্থাপনা করে রেখেছেন। বিভিন্ন কারণে এতদিন এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।