ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের হাত থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের হাত থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগীদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারী।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার সুমন মিয়ার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, তার স্বামী মো. সুমন মিয়াকে পিচ্চি হেলাল ক্ষমতা দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নির্যাতন করাচ্ছে। তার স্বামীর মুক্তিসহ পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগীদের হাত থেকে মোহাম্মদপুরবাসীদের বাঁচানোর দাবি জানান ফেরদৌস।

তিনি বলেন,মোহাম্মদপুরের একটি জমিকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা করে। আমার স্বামীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও ডাকাতি করেছে। যার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে।

গত সরকারের আমলে বিএনপির কর্মী হওয়ায় বেশ কিছু মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি করা হয়। এখন পিচ্চি হেলালের সহযোগী জাহিদ মোড়ল লালমাটিয়া থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জমি দখল, ছিনতাই, ফুটপাতে চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে।

মান্নান হোসেন শাহীন মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁদ উদ্যানসহ বছিলা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, কেউ প্রতিবাদ জানালে তাকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতানো হয়।

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন,পিচ্চি হেলালের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে নাম শুনেই পুলিশ জিডি নেয়নি।

অজানা কারণে আমাদের অপমান করে বের করে দেয়। এখন আমার দুই বাচ্চাসহ আমার পরিবারের হেফাজতের দায়িত্ব কে নেবে? আমরা কি স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারব না?

গত ২০ নভেম্বর আমার স্বামী জমির ব্যাপারে সাক্ষী দিতে আদালতে যায়। সেখান থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা অবৈধ ক্ষমতাবলে আমার স্বামী মো.সুমন মিয়াকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়। আদালতের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে পুলিশ।

আমার স্বামীর মামলার তদন্ত অফিসার এসআই আব্দুল কাদির, তবে ওনার চেয়ে (টাকা খেয়ে) বেশি টর্চার করছে এসআই আলতাব।

তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদের জানায়, আমরা ডিসি স্যারের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদ করতেছি। এ ব্যাপারে আমরা ডিসি সাহেবের শরণাপন্ন হলে ডিসি সাহেব আমাদের বলেন, আদালত নাকি সুমনকে ২৪ ঘণ্টা করে ছয় দিনই পেটাতে বলেছে। মোহাম্মদপুরে শুধু আমরাই নই, শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। বিগত সরকারের আমলে মোহাম্মদপুরে আর যা-ই হোক-ছিনতাই, ডাকাতির কোনো নামগন্ধই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে মোহাম্মদপুর ছিনতাই ও ডাকাতিতে রেকর্ড করেছে। যার মূল হোতা এ পিচ্চি হেলাল বাহিনী।

এ সন্ত্রাসী বাহিনীর জমি দখল, খুন, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মোহাম্মদপুরবাসী নাজেহাল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর আমার স্বামীর নামে এ বিষয়ে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। যার মাঝে আমার স্বামী কোনোভাবেই জড়িত ছিল না।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুরবাসীকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের কালো হাত ও মামলা বাণিজ্য থেকে রক্ষা করুন। আমি আমার স্বামীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগী মফিজুল ইসলাম মফি, দীপু, বাবু, জাহিদ মোড়ল, মান্নানসহ সব সন্ত্রাসীর শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।