ঢাকা: ব্রিটেনে সংখ্যালঘু ইস্যুতে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সহযোগিতা চান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে আমি ডেকেছিলাম দুটো কারণে। ছোট ছোট দুটো ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে কিছু ভুল তথ্য আছে, সেটা আমি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। বলেছি যে, চারদিকে যে তথ্যের একটা প্রবাহ চলছে, তারা সেটা থেকে মনে হয় যেন তথ্য নিয়েছেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আর দু’একটা সংগঠন আছে। যারা কথা বলেছেন, সেগুলোও মোটামুটি ব্রিটেনকেন্দ্রিক। তারা যেটা বলেছেন, প্রকৃত গ্রাউন্ডের পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়নি। পার্লামেন্টের সদস্যরা যা ইচ্ছে তাই বলবে, এটা নিয়ে কারও কিছু করার নেই, আমাদেরও কিছু করার নেই। আমি হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেছি, আমাদের যে অবস্থানটা সেটা যেন তারা তাদের চ্যানেলে জানান। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, আপনারা আপনাদের মিশনের মাধ্যমে জানান, আমরাও জানাব।
ব্রিটেন ভিত্তিক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের বিবৃতির প্রসঙ্গেও ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে অবহিত করেছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি বিবৃতি এসেছে। সেখানে খুব দুঃখজনকভাবে যেটা আসছে, আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। সেখানে দেখানো হয়েছে ৫ আগস্টের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে, যেটা সম্পর্ণ মিথ্যা, ৫ আগস্টের আগের কথা বলা হয়েছে, মোট ২৮০ জন আর মোট সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। আমি বলেছি, বিষয়টা মোটেই তা না।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে অন্তত দেড় হাজার ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। তারমধ্যে আমরা ৭৮০ জনের তো নাম পরিচিতি নিশ্চিত করেছি। বিবৃতিতে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এটা ঠিক নয়, একেবারে সঠিক নয়। বরং দুঃখজনক যে এখানে তো বড় একটা ঘটনা যে ঘটেছে তার কোনো উল্লেখ নেই প্রতিবেদনে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা (অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ) বলেছেন তাদের কথা। এখন আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। আপনিও (হাইকমিশনারকে) একটু ব্যাখ্যা করুন আপনার সরকারের কাছে এবং আপনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
টিআর/জেএইচ