ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে যা করা যাবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে যা করা যাবে না

ঢাকা: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষবরণে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। এ দুই উৎসব উদযাপনে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না।

নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।  

সভায় অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. আলমগীর আলম সভাপতিত্ব করেন। অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, স্পেশালে ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্ম-মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
 
সভায় জানানো হয়, বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগত স্থানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে। দুই উৎসবে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হবে।
 
সভায় সারাদশে গির্জাসমূহের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাসমূহে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।  

কেউ উচ্চ স্বরে গাড়ির হর্ন বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।  

সভাপতির বক্তব্যে মো. আলমগীর আলম আশা প্রকাশ করে বলেন, শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।