ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাহাড়ে বেড়িয়ে ফেরার পথে ‘অজ্ঞান পার্টি’র খপ্পরে উপসচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
পাহাড়ে বেড়িয়ে ফেরার পথে ‘অজ্ঞান পার্টি’র খপ্পরে উপসচিব উপ-সচিব দিলীপ কুমার দেবনাথ

ঢাকা: বাসের মধ্যে ‘অজ্ঞান পার্টি’র খপ্পরে পড়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দিলীপ কুমার দেবনাথ (৫৫)। মধ্যরাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা হামজা এক্সপ্রেস নামে একটি বাসে তিনি এ ঘটনার শিকার হন।

তাদের ঢাকার বাসা মিরপুরে। আর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন দিলীপ কুমার।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) শুকহরি মধু বাংলানিউজকে জানান, গতরাত দেড়টার দিকে তেজগাঁও শাহীন স্কুলের সামনে চেকপোস্টে ডিউটি করছিলেন তিনি। তখন হামজা এক্সপ্রেসের একটি বাস সেখানে এসে থামে। গাড়িটির স্টাফরা তাকে জানান, বাসের মধ্যে এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে আছেন। জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন। ঢাকার সায়দাবাদে তার নামার কথা ছিল। সায়েদাবাদে যখন বাসের সুপারভাইজার তাকে নামানোর জন্য ডাকাডাকি করেন তখন তার কোনো সাড়াশব্দ মিলছিল না।  

বাসের স্টাফদের ভাষ্যে, চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে তার পাশে আরও এক ব্যক্তি বসেছিলেন। যাকে দেখে মনে হয়েছিল তাদের মধ্যে কোনো পরিচয় রয়েছে। তবে সায়েদাবাদ আসার পরে পাশের ওই ব্যক্তিকে আর দেখা যায়নি। এছাড়া দিলীপ কুমারের ব্যাগে একটি বাটন ফোন আর ভিজিটিং কার্ড ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।  

পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিসিনে বিভাগে ভর্তি করা হয় উপসচিবকে।

উপপরিদর্শক আরও জানান, তার ব্যাগে থাকা ভিজিটিং কার্ডের সূত্র ধরে জানা যায়, তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও হাসপাতালে আসেন।  

স্ত্রী জানান, তার স্বামী পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গত রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। সেটি আর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন। আর কী কী খোয়া গেছে তা জানা যায়নি।

হামজা এক্সপ্রেসের সুপারভাইজার পারভেজ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি ও তার পাশের সিটে বসা অপর ব্যক্তি চট্টগ্রামের একই জায়গা থেকে উঠেছিলেন। বাসের মধ্যে তারা খুবই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন, গল্পগুজব করছিলেন। দেখে মনে হয়েছিল তারা পরিচিত বা বন্ধু। তারা দুজনই সায়েদাবাদ নামবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে ঢাকায় ঢোকার আগে চিটাগং রোডে ওই ব্যক্তি বাস থেকে নেমে যান। পরে সায়েদাবাদ এসে নামার জন্য ডাকলে ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায় দেখা যায়।  

বাসের শেষ যাত্রীকে নামিয়ে দিতে অচেতন উপসচিবকে নিয়েই গাড়িটি বিমানবন্দর পর্যন্ত যাচ্ছিল জানিয়ে পারভেজ বলেন, পথে পুলিশকে পেয়ে তার শরণাপন্ন হন গাড়ির স্টাফরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।