ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শীত বাড়ছে সৈয়দপুরে, সস্তায় বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার-ট্রাউজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৫
শীত বাড়ছে সৈয়দপুরে, সস্তায় বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার-ট্রাউজার রেলঘন্টিতে শীতবস্ত্র বেচাকেনা হচ্ছে।

নীলফামারী: মাত্র ২০ টাকা, ২০ টাকা, একজোড়া নিলে ৩০ টাকা। এভাবে হাঁকা হচ্ছে দাম।

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেলঘুন্টি এলাকায় অস্থায়ী পুরাতন কাপড়ের বাজার। স্থানীয়রা বাজারটিকে লন্ডা বাজার হিবেবে চেনে কেউবা গুলিস্তান। ওই বাজারে শীতের গরম কাপড় সোয়েটার, ব্লেজার, ট্রাউজার (ইনার) বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।  

কনকনে শীত পড়েছে এই অঞ্চলে। দুই দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ নেমে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

আগের দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) ছিল ১২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম।  

শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।


  
সরেজমিনে শহরের দুই নম্বর রেলঘুন্টিতে গেলে দেখা যায়, ওই এলাকার অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা দুই শতাধিক দোকানে বিদেশ থেকে আমদানি করা পুরাতন কাপড় ধুমছে বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে রয়েছে শিশুদের গরম কাপড়, নারীদের সোয়েটার, কার্ডিগান, পুরুষদের ট্রাউজার, ব্লেজার, সব রকম মোজার বিপুল সম্ভার। খুব সস্তায় বিক্রি হচ্ছে এসব।  ফলে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

রেললাইনের ওপর দোকান সাজিয়েছেন নূর আমিন (৪৫) নামে একজন ব্যবসায়ী। একদামে পুরোনো কাপড় বিক্রি করছিলেন তিনি। হাঁক দিচ্ছিলেন ২০ টাকা, ২০ টাকা, একজোড়া নিলে ৩০ টাকা। কথা হলো তার সাথে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে লাভের চিন্তা করছি না।  গরিব মানুষ ডাতে সস্তায় কাপড় পায়।  এজন্য ২০ টাকা করে পিস বিক্রি করছি। এতে আমার লাভও নেই, লসও নেই। অন্যসময় লাভ করা যাবে।  

লিয়াকত আলী (৪২) নামে আরেকজন ব্যবসায়ী ১শ টাকা দরে ট্রাউজার বিক্রি করছিলেন। তিনি জানান, রিকশাচালক, অটোরিকশাচালকরা সাধারণত লুঙ্গি পরে থাকেন। লুঙ্গির নিচে অনেকে ট্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে নামমাত্র মূল্যে ট্রাউজার বিক্রি করছি।  

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর থেকে ওই বাজারে গরম কাপড় কিনতে এসেছিলেন নয়নতারা বেবী (২০) নামে এক কলেজছাত্রী। তিনি বলেন, কুড়ি টাকা দরে ২০টি সোয়েটার কিনেছি। এর মধ্য থেকে কিছু নিজে এবং বাকিগুলো এলাকার গরিব মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেবো। শীতের কষ্ট কিন্ত ভয়াবহ।  

কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকীর সাথে। তিনি বলেন, শীত বাড়ছে, মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। এই বিবেচনায় এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৩২০০ কম্বল বিতরণ করেছি আমরা। এছাড়া ১০ হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।