বরগুনা: মাছ ধরার ট্রলার চলাচলের সুবিধার্থে বরগুনার তালতলীতে একটি বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া শুরুর আগেই তারা সিগন্যাল দেখে তীরে ছুটে আসতে পারবেন।
ইলিশ শিকার করতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হন জেলেরা। বিশেষ করে রাতে তীর খুঁজে না পেয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে যান জেলেরা, ঘটে ট্রলারডুবি। এতে প্রাণ যায় অনেক জেলের। কারণ দুর্গম নদী ও সাগরের মাইলের পর মাইল কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়া জেলেদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রটি ভূমি থেকে প্রায় পাঁচ ফুট উঁচু। তার পাশেই প্রায় ৫০ ফুট উঁচু টাওয়ার। দি শেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সহযোগিতায় সিবিডিপি এ বিশ্রামাগার ও লাইট হাউসটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। এ ছাড়া প্রকল্পটিতে সার্বিক সহযোগিতা করে জাগোনারী, ঈশানা নারী ফাউন্ডেশন এবং আরএসডিও।
সম্প্রতি বিশ্রামাগার ও লাইট হাউজটি উদ্বোধন করা হয়।
পায়রা নদীর তালতলী অংশের ইলিশ রক্ষা কমিটির সভাপতি শাহাজান শেখ বলেন, ইলিশ মৌসুমে ঝড় হয়। হঠাৎ ঝড়ে আমরা পথ ভুলে যাই। কারণ রাতে আশপাশে কোনো সিগন্যাল বাতি থাকে না। তখন যাওয়ার জায়গা থাকে না। এখন সিগন্যাল বাতি দেখে তীরে ফেরা যাবে।
পায়রা তীরের জেলে বাবুল মিয়া বলেন, ভাদ্র মাসে নদী উত্তাল থাকে। বিপদের সময় তীরে ফিরতে পারলেও মাথা গোঁজার জায়গা ছিল না। এখন তো যাওয়ার একটা জায়গা হয়েছে। জাল ফেলে একটু বিশ্রামও নেওয়া যাবে।
পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) তালতলী উপজেলার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, লাইট হাউজ কাম আশ্রয়কেন্দ্রটি করার উদ্দেশ্য হলো- জেলেরা যাতে বিপদের সময় সিগন্যাল দেখে দ্রুত তীরে ফিরতে পারেন। অনেকে এখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, লাইট হাউজের সঙ্গে একটি বিশ্রামাগার থাকায় জেলেরা সেখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। জেলেদের সুরক্ষায় ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
এসআই