ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

ঢাকা: ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, সেটা কীভাবে বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের যেসব নদী ভারতের সাথে রয়েছে, সে সব নদীর পানি যেন সুসম বণ্টন হয়, সে বিষযে আলোচনা হবে। পানি চুক্তি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। ফেনীর মুহুরী চরে একটি সমস্যা আছে। ওই এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে একটি সমস্যা আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, সেটা কীভাবে বন্ধ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আলোচনা হবে। এ ছাড়া দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১০ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে এই অসম চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিগুলো যেন বাতিল করা হয়, সে বিষয়ে আমরা তাদের বলব। আমরা তাদের বলব, এই চুক্তিটা এভাবে করা সঠিক হয়নি।

আরও কী কী অসম চুক্তি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুলাউড়ায় যে রেলস্টেশন আছে, সেটা বর্ডার থেকে তিন কিলোমিটার ভেতরে। আমরা তাদের আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভেতরে আসতে দেব কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট করা হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ১৯৭৪, ১৯৭৫ এবং ২০১১ সালে অসম চুক্তি হয়েছে।

অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে ৩১ জানুয়ারির পর আর কী করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো দেশে যেতে হলে একটি ভিসার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের বেশি কেউ সে দেশে অবস্থান করলে তাকে জরিমানা দিতে হয়। এই জরিমানাটা আমরা পাঁচ গুণ বাড়িয়েছি। আগে দিন প্রতি ২০০ টাকার স্থানে আমরা এক হাজার টাকা নির্ধারণ করেছি। আগে ছিল, আপনি যত দিন অবৈধভাবে থাকেন না কেন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা যেত। সে আইনটাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিদিন হিসেব করে জরিমানা দিতে হবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে যেতে চায় যেতে পারবে। এরপরও যদি কেউ থেকে যায় তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু ছাড়া দিয়ে আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।