ভোলা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হাসানের মৃতদেহ ৬ মাস পর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের আলমগীর মেম্বারের বাড়ির দরজার মসজিদের কবরস্থানে শহীদ হাসানকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে, সাহামাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়ক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
পরে শহীদ হাসানের বাবাকে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এর আগে এ শহীদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে শুক্রবার জুমার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, জানুয়ারি মাসে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে হাসানের লাশ শনাক্ত করেন। এরপর সিআইডি তার ডিএনএ পরীক্ষা শেষে একমাস পরে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করে জানায়, এটাই হাসানের লাশ।
হাসানের বাবা মনির হোসেন ভোলার সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাহামাদার গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান, হাসানসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে তার। আট বছর আগে ঢাকায় পাড়ি জমান হাসান। ভগ্নিপতি ইসমাইলের বাসায় থাকা শুরু করেন। ঢাকায় গুলিস্তান কাপ্তানবাজারে একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে কাজ নিয়েছিলেন তিনি। নিজের খরচ চালিয়ে মাসে কিছু টাকা সংসারের জন্য পাঠাতেন হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
এসএএইচ