ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৭ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি ৩ প্রকল্পের সন্ধান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
টুঙ্গিপাড়ায় সাবেক উপজেলা  চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি ৩ প্রকল্পের সন্ধান

গোপালগঞ্জ: জনগণকে বঞ্চিত করে ৩৪ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকার তিনটি সরকারি প্রকল্প সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে বাস্তবায়নের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)  অভিযানে বেরিয়ে এসেছে।  

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা এসব প্রকল্প নিজের বাড়িতে বাস্তবায়ন করেছেন।

 

প্রকল্পগুলো হলো ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে পানির লবণাক্ততা দূরীকরণ প্লান্ট, দুই লাখ টাকার স্ট্রিট লাই ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাট।  

সোমবার (১৭ মার্চ) গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় গাজী বাড়ি জামে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি পাঁচ লাখ টাকাসহ এসি, সোলার প্যানেল ও অন্যান্য সরাঞ্জামাদি আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। এ অভিযানে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি।  

পরে ওই মসজিদের দুটি নষ্ট এসির খোঁজ করতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার গিমাডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায় দুদকের ওই দল।

সেখানে সরকারি চারটি স্ট্রিট লাইট, পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্ল্যান্ট ও একটিঘাটের সন্ধান পান দলের সদস্যরা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. মশিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লী জনগণকে বঞ্চিত করে  গাজী গোলাম মোস্তফার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ৩১ লাখ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্লান্ট নির্মাণ করে দেন। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস দুই লাখ টাকার চারটি স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাট ওই বাড়িতে করে দেয়।  

দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত বাড়িতে তিন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে গাজী গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী  প্রকৌশলী ও উপজেলা পিআইও অফিসের প্রকৌশলীদের জড়িত থাকার সত্যতা মিলেছে। জনগণের ক্ষতি করে ব্যক্তিগত বাড়িতে এগুলো স্থাপন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই দুদক থেকে তাদের বিষয়ে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 এ অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আকারে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।