ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুরে রেললাইনেই ঈদের বাজার, ঝুঁকিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
সৈয়দপুরে রেললাইনেই ঈদের বাজার, ঝুঁকিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

নীলফামারী: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর বসছে ঈদের বাজার। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঝুঁকিতে আছেন।

তবুও ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে পুলিশ।  

নীলফামারীর সৈয়দপুরের মক্কা হোটেলের সামনে এ জটলার বাজার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে।   

উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র নীলফামারীর সৈয়দপুর। এ শহরের রেললাইনের ওপর প্রতিদিনই ঈদের বাজার বসছে। আগে থেকেই এখানে বাজার বসে আসছে। এবার ঈদের কাপড়-চোপড়, বেল্ট, স্যান্ডেল, জুতা, কসমেটিকস, দুল-ফুলের দোকান, প্যান্ট, শার্ট, লেপ-তোষক, ফল, ভ্যানিটি ব্যাগ, মানি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসছে।
   
এর আগে এ জায়গায় বেশ ক’জন প্রাণ হারিয়েছেন। এবারও জটলায় দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সৈয়দপুর-চিলাহাটি, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর রেলপথে প্রতিদিন আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন মিলে ১২টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। যাতে বাজার বসতে না পারে, সেজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেললাইনের দুই পাশে বেরিয়ার নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। তবুও লোকজন এসব তোয়াক্কা করছেন না। ফলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  
  
শহরের বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লাইন দিয়ে বেরিয়ার নির্মাণ করে দিয়েছে। কিন্তু লোকজন মানছেন না। কেউ কেউ কাঠের সিঁড়ি ব্যবহার করে পারাপার হচ্ছেন, লাইনের ওপর বাজার বসাচ্ছেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেললাইনের উভয় পাশে ১৪৪ ধারা জারি রাখার বিধান রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের ওপর বাজার বসানো তো দূরের কথা, রেললাইনের ওপর দিয়ে পথচারী চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আছে বিদ্যমান আইনে। ওই আইন লঙ্ঘন করে এ বাজার বসছে নিয়মিত।  
সৈয়দপুরের স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অস্থায়ী বাজারটি উচ্ছেদে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কয়েকবার উচ্ছেদও হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। নতুন করে আবার বাজার বসে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলাম। রেললাইনের ওপর থেকে বাজার সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছি। এরপর আমরা উচ্ছেদসহ আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।