ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ মার্চ ২০২৫, ২৭ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
ময়মনসিংহে জমে উঠেছে ঈদ বাজার জমে উঠেছে ঈদ বাজার

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ময়মনসিংহে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মার্কেট ও শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে নানা রঙের নতুন নতুন পোশাকে সেজেছে মার্কেট ও বিভিন্ন শপিং মলগুলো। ঈদ আনন্দ বাড়াতে মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

নগরীর বিভিন্ন শপিংমলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-পরিবারের সদস্যদের পছন্দসই পোশাক কিনতে বিভিন্ন মার্কেটে ছুটে চলছেন ক্রেতারা। শিশুদের রঙিন রঙিন পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো।

এদিকে সামনে গরমকাল থাকায় এ ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা। ঈদ এলেই নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি আলাদা আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায় ক্রেতাদের মাঝে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন পোশাক দোকানে তুলেছেন দোকানিরা।

নগরীর বারীপ্লাজা শপিংমলের ব্যবসায়ী শরীফুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানি ব্যান্ডের পোশাকের পাশাপাশি এবার নতুন আঙ্গিকে বাজারে এসেছে ফারসি ড্রেস। এছাড়াও সারারা ও গারারাও রয়েছে নারীদের পছন্দের তালিকায়। ছেলেদের পছন্দ পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট টি-শার্ট।

আসাদ মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিকুল বলেন, মেয়েরা বেশি পছন্দ করছেন হিরামান্ডি, ফারসি, সারারা, গারারা, ফার্সিকাট, মুসকাল ও আফগান থ্রি-পিস। অন্যান্য থ্রি-পিসের চেয়ে এসব পোশাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তারপরও এদিকে ঝুঁকছেন বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা।

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, এবারে ঈদে আমার পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক। পাকিস্তানি পোশাকগুলো কমফোর্টেবল। সেজন্য আমি এইবার যতগুলা ড্রেস দেখেছি সবগুলা পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনুবা আক্তার বলেন, মার্জিত পোশাক আমার পছন্দের তালিকায় রাখি। যেহেতু আমি মুসলিম সেহেতু আমি পোশাক চয়েজের ক্ষেত্রে একটু সেনসিটিভ। আমি লং ড্রেস পছন্দ করি সেক্ষেত্রে আমার দেশি পোশাকের পাশাপাশি পাকিস্তানি ড্রেস পছন্দ।

এদিকে ছেলেদের পোশাকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় পোশাক। ব্যাংকার গোলাম সারোয়ার সুমন তিনি বলেন, আমার সবসময় দেশি পোশাক পছন্দ। দেশীয় পোশাকের মধ্যে আমার আলাদা দুর্বলতা কাজ করে।

তবে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে কসমেটিকসের দোকানে। নগরীর অলকা নদীবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী শাজাহান বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কসমেটিকস পণ্যের ক্রেতা কম। তবে আশা করি দুয়েকদিনের মাঝে ক্রেতা বাড়বে এবং আমাদের বিক্রি আশানুরূপ হবে।

দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও  দর কষাকষি করে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পোশাক। ক্রেতাদের অভিযোগ এইবার গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি রাখছেন দোকানিরা। তাদের দাবি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন।

পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, এইবার বিদেশি পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে আমরা চাইলেও দাম কম রাখতে পারছি না। তবে দেশি পোশাকের দাম ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই আছে।

বড় বড় শপিংমলের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নিম্ন আয়ের মানুষরা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন দোকানগুলো থেকে।

এদিকে ঈদ কেনাকাটা নিরাপদ রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঈদ এলে অপরাধ চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোনো অপরাধী যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য আমরা শপিংমল এলাকাগুলোতে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও জনগণকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে যাতে অপরিচিত কারও সঙ্গে পরিচয় না হয় এবং অপরিচিত কেউ কোনো খাবার দিলে যেন গ্রহণ না করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।