ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মশক নিধন কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, যদি কোনো কারণে মাঠ পর্যায়ে কোনো অনিয়ম পাই তাহলে কোম্পানিগুলোর অ্যাগ্রিমেন্ট বাতিল করে দেব।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনের হল রুমে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ২০ বছরের জঞ্জাল দুই-আড়াই বছরে শেষ করা যাবে না। এতটুকু বলতে পারি, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, কালশী রোড ও মিরপুর কমার্স কলেজ এলাকার যেসব স্থানে বর্ষাকালে বড় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় সেসব স্থানের জলাবদ্ধতা রোধে আমরা চেষ্টা করছি।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এ বছর আমাদের গরমের আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এই শহরে আমি বৃষ্টি চাই। কিন্তু আবার অন্য কেউ বসলে, বলবো এই শহরের আমরা বৃষ্টি চাই না। বৃষ্টির পরের পরিস্থিতি এই শহরে আমরা সবাই মিলে মোকাবিলা করার চেষ্টা করব।
মশক নিধনে কীভাবে সিটি করপোরেশনের দক্ষ দল তৈরি করা যায়, জানতে চাইলে প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে আমি ১০ পারসেন্ট একমত বাকি ৯০ পারসেন্ট একমত না। বাস্তবতা হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের পরিবর্তন হয়, কিন্তু মাঠ পর্যায়ের তেমন কোনো কর্মী পরিবর্তন হয় না। আমরা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করে থাকি। তবে থার্ড পার্টির কোম্পানি মূলত ব্যবসা করার জন্য আসে। অতীতে সিটি করপোরেশনে কাজ করতে এসেছে, তারা বড় ধরনের সিন্ডিকেট করেই কাজ করতে এসেছিল। এসবে তাদের বড় লাভ হয়েছিল।
মোহাম্মদ এজাজ উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিভিন্ন খাল পরিষ্কার ও মশক নিধানের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যারা আছেন তাদের জনপ্রতি বিল দেওয়া হয় ১৭-১৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এই কর্মীরা আসলে পান ৬-৮ হাজার টাকা। প্রায় ১০ হাজার টাকা নেই। এক হাজার লোকের ১০ হাজার টাকা নেই মানে কোটি টাকার বাণিজ্য। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি বিল দিতে চাই। আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোকে জানিয়েছি মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের বিল দেওয়া হবে। এর ফলে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা ন্যায্য বিল পাবেন। এ বিষয়ে মাথায় রেখেই আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব। আমরা থার্ড পার্টি বা আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোকে তাদের কমিশন দিয়ে দেব, কিন্তু তারা (কোম্পানিগুলো) মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের লিস্ট, মোবাইল নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দেবে। সিটি করপোরেশন মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেবে।
প্রশাসক এজাজ বলেন, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমিউনিটিকে বলছি, আপনাদের এলাকায় বা রোডে যে ব্যক্তি মশার ওষুধ ছিটাচ্ছেন ও সুপারভাইজার কর্মী, তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি সেখানে না যায় বা ওষুধ না ছেটায় আমাদের জানাবেন। আপনাদের কাছ থেকে তাদের (কোম্পানিগুলোর) কাজের রিভিউ আমরা পাব। যদি কোনো কারণে মাঠ পর্যায়ে কোনো অনিয়ম বা দুই নম্বরি পাই তাহলে কোম্পানিগুলোর অ্যাগ্রিমেন্ট বাতিল করে দেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এমএমআই/এইচএ/