সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ (সিলেট) পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ও সুরমা নদী কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন বাড়তে পারে এবং তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে অথবা বিরাজ করতে পারে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন বাড়তে পারে। এ সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তৃতীয় দিন এসব নদীর পানি সমতল কমতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, সাঙ্গু, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল কমেছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী এক দিন বাড়তে পারে। এ সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। দ্বিতীয় দিন এসব নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং তৃতীয় দিন পানি সমতল কমতে পারে।
আবার সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদ-নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন বাড়তে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলায় এসব নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। তৃতীয় দিন এসব নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
ইইউডি/আরএইচ