এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের দাবির পক্ষে ভুখা মিছিল করতে না পেরে শহীদ মিনারে ফিরে গেছেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শিক্ষকরা মিছিল শুরু করেছিলেন।
এ সময় শিক্ষকরা ‘দাবি মেনে নে, নয়তো বুকে বুলেট দে’, ‘৫ পার্সেন্ট দাবি মানি না, মানবো না’, ‘এক দুই তিন চার এই মুহূর্তে গদি ছাড়’ স্লোগান দেন। কিছুক্ষণ সংশ্লিষ্ট সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষকরা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের ঘেরাও করেন। ঘটনাস্থলে জলকামান ও সাজোয়ার যানও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়।
হাইকোর্টের মাজার গেট সংলগ্ন রাস্তায় আটকে থাকা অবস্থায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমাদের দাবির সঙ্গে আপস হবে না। ছয় লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। আমাদের দাবি মেনে নিলে সন্ধ্যায় আমরা আন্দোলন বন্ধ করে চলে যাব। এছাড়া কোনো তাবেদারি চলবে না। সকল শ্রেণিকক্ষ বন্ধ আছে, থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব ও এনসিপি অনুরোধ করেছে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা তা নিশ্চিত করব। আমরা হুঁশিয়ারী দিতে চাই, আমাদের দাবি না মানলে পুরো দেশের শিক্ষকরা ঢাকায় এসে আন্দোলন চালালে কোনো বাহিনী আমাদের কিছু করতে পারবে না।
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সরকারকে জানান, সরকারকে বুঝতে হবে, একটি দল শিক্ষক ও সরকারের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে বদনাম করতে চাইছে। আমাদের দাবি পূরণ হলে আমরা নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
এ সময় তিনি সকল শিক্ষককে শহীদ মিনারে ফিরে যেতে এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থায় দাবি আদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বেতনের উপর ২০ শতাংশ দাবিতে শিক্ষাভবনের উদ্দেশ্যে ভুখা মিছিল শুরু করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। সে সময় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী জানিয়েছিলেন, মিছিল নিয়ে তারা শিক্ষাভবনের সামনে যাবেন। সেখানে শিক্ষকরা অবস্থান করে সমাবেশ করবেন। পরে পুনরায় তারা শহীদ মিনারে ফিরে আসবেন।
সরেজমিনে মিছিলে থাকা শিক্ষকদের অনেকের হাতে থালা-বাটি দেখা গেছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় এসে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
ডিএইচবি/এফএইচ/এমজে