ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাইব্যুনালকে সত্তরের প্রার্থীদের তথ্য দিলো ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫
ট্রাইব্যুনালকে সত্তরের প্রার্থীদের তথ্য দিলো ইসি

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজের স্বার্থে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের(আইসিটি) তদন্ত সংস্থাকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে একটি বই থেকে রেফারেন্স নিয়েছে ইসি।


 
সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর সত্তরের নির্বাচনের রাজনৈতিক দলভিত্তিক তথ্য চেয়ে ইসিকে চিঠি দিয়েছিলেন আইসিটি’র তদন্ত সংস্থা। কিন্তু ইসি’র কাছে কোনো তথ্য সংরক্ষিত ছিলো না। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সংসদ সচিবালয়ে সংরক্ষিত নথি থেকে তথ্য খোঁজার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ওই কিমিটিকে সহায়তা করার জন্য সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে নির্দেশও দেয় ইসি।

ওই কমিটি সংসদ সচিবালয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পায়নি। সংসদ সচিবালয়ে কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম, পিতার নাম, আসন নম্বর ও ঠিকানা সম্বলিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি রয়েছে।
 
অবশেষে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ইসিকে বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স নিতে হয়েছে। অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে এ এস এম সামছুল আরেফিনের লেখা ‘বাংলাদেশের নির্বাচন(১৯৭০-২০০৮)’ বইটির তথ্য আমলে নিয়েছে ইসি। কেননা, এ বইটির দেওয়ার তথ্যের সঙ্গেই সংসদ সচিবালয়ের গেজেটে উল্লেখিত নির্বাচিত প্রার্থীদের নামের মিল পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেছেন, গত ১৪ জানুয়ারি আইসিটি তদন্ত সংস্থার কাছে বইটি থেকে রেফারেন্স নিয়ে তথ্য পাঠানো হয়েছে। ওই নির্বাচনের গেজেটের কোনো কপি দেওয়া হয়নি। তবে গেজেটের সঙ্গে বইটির দেওয়া নির্বাচিত প্রার্থীর নামের মিল রয়েছে।
 
আইসিটিকে সত্তরের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬২টি আসনের (কেবল পূর্ব পাকিস্তান) রাজনৈতিক দলভিত্তিক বিজয়ী প্রার্থী, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটার সংখ্যা ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের তথ্য দিয়েছে ইসি। এছাড়া ৭টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত সদস্যের তথ্যও দেওয়া হয়েছে।

এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসন পেয়েছিলো। একটি পেয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়। অন্যটি পেয়েছিলেন ময়মনসিংহ-৮ আসন থেকে পিডিবির নুরুল আমিন।

এদিকে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের দলভিত্তিক তথ্যও দিয়েছে ইসি। এ নির্বাচন হয়েছিলো ১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর।
 
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করতে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।   এখন পর্যন্ত দু’টি ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য শেষ হয়ে রায় দেওয়া হয়েছে ১৫ মামলার ১৬ আসামির। রায়ের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে দু’টি মামলা। তদন্তাধীন রয়েছে শতাধিক মামলা। এসব মামলায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনকে রেফারেন্স হিসেবে নিতে পারেন আইসিটি’র তদন্ত সংস্থা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।