ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আর্দশ নগরী গড়বেন মেয়র প্রার্থী খোকন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৫
আর্দশ নগরী গড়বেন মেয়র প্রার্থী খোকন সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন

ঢাকা: চলমান রাজনৈতিক সংকটে দেশে নিজের ভুমিকা রাখার চিন্তা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন।

মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাকে একটি আধুনিক ও ‍আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।


 
শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলানিউজ কার্যালয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন।
 
১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আনিসুজ্জামান খোকন।
 
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন দাবি করে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা ও জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।
 
১৯৮০ সালে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিবের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর একই বছর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আনিসুজ্জামান।
 
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদের সামরিক আইন জারির পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলাম আমি। ওই সময় সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক চিঠিপত্র আমার স্বাক্ষরে পাঠানো হতো। তখন দলের অন্যান্য নেতারা দৃশ্যমান ছিলেন না।
 
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে বিএনপির হাল ধরতে আনিসুজ্জামানই প্রথম প্রস্তাব দেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
 
এরশাদের শাষণামলে বিএনপির কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকলে তার ওপর সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে চাপ আসে। এক পর্যায়ে এরশাদের রাজনৈতিক (জন দল) দলে তাকে যোগদান করতে বাধ্য করা হয় বলে জানান তিনি।
 
তিনি বলেন, এরশাদ তার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব দিয়ে লন্ডনে কূটনৈতিক কাজে পাঠান। কিন্তু আমি ওই পদ ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে  গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেই।
 
এরপর ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন জানিয়ে আনিসুজ্জামান বলেন, ওই সময় দেশের আসতে দেরি হওয়ায় নির্বাচনে আমার বড় ভাই মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন।
 
আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, বর্তমান তিতুমীর কলেজ স্বাধীনতার আগে জিন্না কলেজ নামে ছিল। ১৯৭০ সালে আমি তৎকালীন জিন্না কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হই। আমার শপথ অনুষ্ঠানে জিন্না কলেজের নাম তিতুমীর কলেজ প্রস্তাব করি। একদিন জিন্না কলেজ লেখা সাইন বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে তিতুমীর কলেজ নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেই।
 
আসন্ন সিটি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তিনি বলেন, যদিও এ নির্বাচন নির্দলীয়, আশা করি বিএনপি থেকে আমি সমর্থন পাব। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন আমি।
 
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্র আমি তৈরি করি। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে কর্নেল তাহেরের অধীনে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন বলে জানান আনিসুজ্জামান।
 
আমি আমার জীবনের অর্ধেক সময় বাংলাদেশে ও বাকি অর্ধেক সময় ৩০ বছর কাটিয়েছি নিউ ইয়র্কে। নিউ ইয়র্কের মতো ঢাকাকে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
 
তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগে বিভক্তিতে বিশ্বাসী নন। দুই ভাগে বিভক্ত থাকলে নগরীর উন্নয়নের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে।
 
নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, নগরীর যোগাযোগ ও অন্যান্য ‍অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকাকে আধুনিক ও উন্নত মানের শহর করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন মেট্রোরেল, পর্যাপ্ত ওভারব্রিজ, রাস্তাঘাট প্রসস্থ করা ও ঢাকাকে যানজটমুক্ত করা।
 
ঢাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ধুলাবালি, পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতিবৃষ্টিতে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় ও যানজটমুক্ত রাখা যায় সে পরিকল্পনা করতে হবে।

মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ পরিকল্পনা মাধ্যমে কাজ করা, যানজটমুক্ত করতে ঢাকার সব রাস্তা ওয়ান ওয়ে করা ও ব্যস্ত এলাকায় ট্রাফিক মুভার রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।
 
একই সঙ্গে ঢাকার সকল বস্তিকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব করা ও বস্তিবাসীদের পুণর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী আনিসুজ্জামান খোকন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।