বান্দরবান: বান্দরবানের থানচিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার এখনও খোঁজ মেলেনি। একই সঙ্গে নৌকাডুবিতে হারিয়ে যাওয়া ২টি অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলিরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। সকালে তার পরিবারের সদস্যরা বান্দরবানে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে থানছি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের বড় পাথর এলাকায় নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট আলিমুজ্জামানের সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিজ্ঞ জেলেরা অভিযানে অংশ নিয়েছে। তবে, সাঙ্গু নদীর প্রবল স্রোত ও নদীর তলদেশে বিশাল আকৃতির পাথর থাকায় উদ্ধার অভিযানে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের।
থানছি উপজেলার বড় পাথর এলাকার ঘটনাস্থলটি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। এছাড়া আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছ। বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত ছিল।
এদিকে, সকালে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদদ চৌধুরী ও বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল অলিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে থানচি বড় পাথর এলাকায় পৌঁছেছেন।
বিজিবি বান্দরবান সেক্টরের কর্মকর্তা মেজর জহির উদ্দীন বাবর বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চলছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থানছির বড় মদক থেকে অভিযান শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে বড় পাথর এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা সাংঙ্গু নদীতে ডুবে গেলে এতে বিজিবি সদস্য জুয়েল রানা নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বিজিবির চারটি অস্ত্র ও একশ রাউন্ড গুলিও খোয়া যায়। ৭৭ জন বিজিবি সদস্য মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শেষে তারা নৌকা করে ব্যাটালিয়নে ফিরছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫
পিসি