ঢাকা: রাত তখন দুইটা। সড়কে গাড়ি নাই তেমন একটা।
কে এই বিলবোর্ড বসালো কেইবা আবার অপসারণ করছে এসব কথা জানতে চাইলে ক্রেন পরিচালনাকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব নামে এক ভদ্রলোক এই বিলবোর্ডটি বসিয়েছিলেন। প্রায় ৩০ ফুট আকৃতির বিশাল এ বিলবোর্ড স্থাপনে ছিলো না কর্তৃপক্ষের অনুমতি। তাই তো অবৈধ এ বিলবোর্ড রাতের অন্ধকারেই সরিয়ে নিতে হলো।
রাজধানীর বসুন্ধরা-বাড়িধারা রোডের কোকাকোলা নামক স্থানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা বিলবোর্ড আর চোখে পরবেন না। শুক্রবার দিনগত রাত দুইটার দিকে চুপিসারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিলবোর্ডটি।
বিলবোর্ড প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিন্টু জানান, দুইমাস আগে এখানে এই বিলবোর্ড বসানো হলেও বিলবোর্ড স্থাপনের পর এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞাপন চোখে পরেনি।
নিনজা গ্রুপের হাইড্রোলিক ক্রেন দিয়ে বিলবোর্ড কেটে নিচে নামিয়ে আনা হয়। এরপর খুঁটি অপসারণের কাজ শুরু হয়। তবে বিলবোর্ড অপসারণের সময় সিটি কর্পোরেশনের কাউকে দেখা যায়নি। গভীর রাত হওয়ায় তাদের কাউকে ফোন দেওয়াও সম্ভব হয়নি।
বিলবোর্ড কাটার সময় কয়েকজন স্থানীয় লোক দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আহসান হাবিবের নাম ভাঙিয়ে একজন লোক এই বিলবোর্ড বসিয়েছিলেন। আহসান হাবিব গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কমিশনার পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে অবৈধ বিলবোর্ড নামানোর ঘোষণা দেন মেয়র আনিসুল হক। তার সেই ঘোষণাতেই রাতে অন্ধকারে চুপিসারে সরিয়ে নিল বিলবোর্ডটি।
দিনে না করে এতো রাতে কেন সরানো হচ্ছে জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম জানান, এই রাস্তাটি অনেক ব্যস্ত। দিনে এই কাজ করলে রাস্তায় যানজট লেগে যেতো। তাছাড়া কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। এজন্য রাতে কাজ করা হচ্ছে।
তখন বিলবোর্ডের কোন মালিক পাওয়া যায়নি। গভীর রাত হওয়ায় কাউকে ফোন দেওয়া হয়িনি। ফোনেও কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
এসএম/আরএ