নোয়াখালী: পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সব নীতি-পরিকল্পনায় জনগণ ও নাগরিক সংগঠনের অংশগ্রহণের সুযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র জনকল্যাণমুখী হয়ে উঠবে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ বিষয়ক শিরোনামে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) ও পার্টিসিপেট রিসার্চ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান) সেমিনারটির আয়োজন করে।
সুপ্র’র নোয়াখালী সভাপতি মনু গুপ্তর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভারমেন্ট সাইন্স অ্যান্ড হ্যাজার্ড স্টাডিজ্ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, গ্লোবাল কল অ্যাকশান প্রোভার্টি বাংলাদেশের সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, নোয়াখালী জজকোর্টের জিপি কাজী মানছুরুল হক খসরু, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর ইউসুফ, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন নোয়াখালী সভাপতি আবদুর রহিম চেয়ারম্যান। সঞ্চালনা করেন প্রানের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, বিশ্বময় সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা উত্তর পরিকল্পনা তথা স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশও এ বছর থেকে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
কিন্তু পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হবে- উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রম দক্ষতা বৃদ্ধি, চাহিদা আছে এমন কারিগরি শিক্ষা, গ্যাস-বিদ্যুতের যোগান, দেশব্যাপী রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত গবেষণার জন্য বরাদ্দ, পরিবেশ বাঁচিয়ে শিল্পায়ন, নগরায়ন ও শিল্পায়নের বিকেন্দ্রিকরণ, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, আয় বৈষম্য কমিয়ে দারিদ্র্যের হার হ্রাস করা, প্রয়োজনীয় ভর্তুকী বজায় রাখা, স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাই সরকারকে এসব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
পিসি