ঢাকা: ‘স্ট্রেনদেনিং অপারেশনাল ক্যাপাবিলিটিস অব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সীমান্তে শক্তিশালী হচ্ছে সন্ত্রাস প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম।
প্রকল্পের আওতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)-এর ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তে অবস্থিত বিজিবির বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) এবং ব্যাটালিয়নসমূহতে লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭। এতে খরচ হবে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, বিজিবি’র সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা নানা ধরণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পটির মাধ্যমেও শক্তিশালী করা হবে সীমান্তে সন্ত্রাস প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। এতে করে বিজিবি’র লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়বে।
বিজিবি’র প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হবে প্রকল্পের আওতায়। ’
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় চার কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে থার্মাল স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টরসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হবে। বিজিবি’র জন্য আধুনিক যানবাহনও সংগ্রহ করা হবে।
বিজিবি সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত এলাকা বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেট সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র জন্য বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, বুলেট প্রুফ হেলমেট ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনা হবে।
বিজিবি প্রতিনিধি জানায়, বিওপিসমূহ বিজিবি’র অপারেশনাল ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। সেই হিসেবে বিওপিসমূহের ব্যাক-আপ সাপোর্ট হিসেবে ব্যাটালিয়ন এবং রসদ সরঞ্জাম সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো জরুরি মুহূর্তে ব্যাটালিয়নসমূহ থেকে বিওপিগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল ও রসদ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে এই সরঞ্জাম ও রসদ বিওপিসমূহে সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এমআইএস/আরআই