ঢাকা, সোমবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সংগ্রামে-সৃজনে অনন্য বাঙালি মনীষা আহমদ রফিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
সংগ্রামে-সৃজনে অনন্য বাঙালি মনীষা আহমদ রফিক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সংগ্রামে, সৃজনে ও মননে এক অনন্য বাঙালি মনীষা আহমদ রফিক। তার সৃষ্টিজগৎ বিশাল ও বহুমাত্রিক।

মুক্ত ও প্রগতিশীল চেতনার ধারক ও বাহক হিসেবে সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম ও খাঁটি বাঙালিত্ব অর্জনের সাধনাই ছিল তার একমাত্র ব্রত ও আজন্ম স্বপ্ন।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রমিত 'পূর্ণতার শুদ্ধ লক্ষ্যে আহমদ রফিক' শীর্ষক সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ছিল লেখক, গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের ৮৭তম জন্মদিন। এর পরেরদিন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রমিত।

বক্তারা বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে আজও মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননিআহমদ রফিক। অর্থ, ক্ষমতা, লোভ-লালসার প্রতি বরাবরই ছিলেন নির্মোহ।

অনুষ্ঠানে আহমদ রফিকের ওপর কবি মজিদ মাহমুদের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রমিত'র অন্যতম সমন্বয়ক ইসমাইল সাদী।

প্রবন্ধে বলা হয়, বিশ ও একুশ শতকে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের ঘটনাবহুল রাজনীতি, ভারত বিভাগ ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয়সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার সক্রিয় কর্মময় জীবন বিস্তার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিটিভির পরিচালক কবি নাসির আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ প্রমুখ।

আলোচনার ফাঁকে আহমদ রফিকের কবিতা পাঠ করেন প্রমিত'র কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনার পাশাপাশি তাকে উত্তরীয় দেওয়া হয়।

আহমদ রফিক ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন ত্রিপুরা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল হামিদ এবং মাতার নাম রহিমা খাতুন। তিনি ১৯৪৭ সালে মেধা তালিকায় ষোড়শ স্থানসহ ম্যাট্রিক, ১৯৪৯ সালে দ্বাদশ স্থানসহ ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৫৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন। কর্মজীবনে শিল্প ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে সাহিত্যকর্মই তার একমাত্র পেশা, নেশা ও সাধনা।

আহমদ রফিক বাংলা একাডেমির ফেলো, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্য, ১৯৮৯ সালে গঠিত ‘রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্রে’ নামক ট্রাস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ১৯৭৬ সালে গঠিত একুশে পরিষদ ও ভাষা আন্দোলন জাদুঘরের অন্যতম উদ্যোক্তা। এছাড়া একাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কর্মরত।

সাহিত্যে গবেষণামূলক রচনার জন্য ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯২), অগ্রণী ব্যাংক শিল্প-সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে সাহিত্যে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক, ২০১৩ সালে রবীন্দ্র পদক এবং কলকাতা থেকে রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য (১৯৯৭) উপাধি লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।